ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এনসিপির অবস্থান শুরু Logo যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধের প্রহসন মানা হবে না: নাহিদ Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo রুশ বিজয় দিবসে অংশ নিতে মস্কোয় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং Logo পাবনায় বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ ঘিরে কুসংস্কারের ছড়াছড়ি Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে স্নিগ্ধর পদত্যাগ Logo মৌলভীবাজারে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জামায়াত কর্মী Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার থাকছে না ম্যাংগো ক্যালেন্ডার, পরিপক্ব হলেই তোলা যাবে আম Logo আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার প্রতিবাদে শিবিরের বিক্ষোভ

নোয়াখালীতে সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মা ও মেয়েকে বেঁধে দুজনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নারীর মা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দুজনকে তার মেয়ে (৩২) ও নাতনি (১২) চিনতে পেরেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাউকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের রাতে সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আলোচিত ওই ঘটনার মামলার রায়ে গতকাল সোমবার ১০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক। এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার। আলোচিত মামলার রায়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই একই উপজেলায় আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল।

নির্যাতনের শিকার নারীর মা বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে এক ব্যক্তি সিঁধ কেটে তার মেয়ের ঘরে ঢোকেন। এরপর তিনি দরজা খুলে দিলে আরও দুজন প্রবেশ করেন। এরপর তারা তার মেয়ে ও নাতনির হাত-মুখ বেঁধে ফেলেন। তাদের মধ্যে দুজন তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন, একজন নাতনিকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় তার জামাতা বাড়িতে ছিলেন না। তিন-চার দিন ধরে তিনি কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন।

নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে দুজনকে নারী ও তার মেয়ে চিনতে পেরেছেন, তাদের একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। ধর্ষণের অভিযোগটি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। ওই নারীকে কেউ ‘কথা শিখিয়ে দিয়েছে’ বলে মনে করেন তিনি।

চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা শুনে রাতেই টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সকালে থানা থেকে পরিদর্শক (তদন্ত) ঘটনাস্থলে গেছেন। টহল দল ও পরিদর্শক (তদন্ত) থানায় ফিরে এলে তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এনসিপির অবস্থান শুরু

নোয়াখালীতে সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আপডেট সময় ১২:৫২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মা ও মেয়েকে বেঁধে দুজনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নারীর মা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দুজনকে তার মেয়ে (৩২) ও নাতনি (১২) চিনতে পেরেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাউকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের রাতে সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আলোচিত ওই ঘটনার মামলার রায়ে গতকাল সোমবার ১০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক। এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার। আলোচিত মামলার রায়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই একই উপজেলায় আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল।

নির্যাতনের শিকার নারীর মা বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে এক ব্যক্তি সিঁধ কেটে তার মেয়ের ঘরে ঢোকেন। এরপর তিনি দরজা খুলে দিলে আরও দুজন প্রবেশ করেন। এরপর তারা তার মেয়ে ও নাতনির হাত-মুখ বেঁধে ফেলেন। তাদের মধ্যে দুজন তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন, একজন নাতনিকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় তার জামাতা বাড়িতে ছিলেন না। তিন-চার দিন ধরে তিনি কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন।

নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে দুজনকে নারী ও তার মেয়ে চিনতে পেরেছেন, তাদের একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। ধর্ষণের অভিযোগটি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। ওই নারীকে কেউ ‘কথা শিখিয়ে দিয়েছে’ বলে মনে করেন তিনি।

চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা শুনে রাতেই টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সকালে থানা থেকে পরিদর্শক (তদন্ত) ঘটনাস্থলে গেছেন। টহল দল ও পরিদর্শক (তদন্ত) থানায় ফিরে এলে তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।