ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বর্ণিল আয়োজনে ঢাকাস্থ হাতিয়া ফোরাম এর ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, নির্মান হবে জুলাই ‘গণমিনার’ Logo ‘অচিরেই দেশের সকল ইসলামী শক্তির মধ্যে সমঝোতা হতে যাচ্ছে’ Logo আজ হিজরি নববর্ষ — ১লা মুহাররম, নতুন বছর ১৪৪৭ Logo বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে পিস্তল ও ককটেল উদ্ধার Logo গাজায় উপত্যকায় ৩ দিনে অন্তত ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত Logo মুন্সিগঞ্জে সেতুর নিচে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ম*র*দে*হ উদ্ধার Logo ইরানকে আলোচনায় ফেরাতে লোভনীয় প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের Logo ইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা: সেনবাগ ছাত্রদল সভাপতি বহিষ্কার

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনার সংখ্যা ১০৩

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:১৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 196

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনার সংখ্যা ১০৩

মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) আরও ৮ জন সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৩ জনে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম। এর আগে, রোববার থেকে আজ (সোমবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯৫ জনের পালিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে।

সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।

এর আগে, গতকাল প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, ১৪ জন বিজিপি সদস্য নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করেছেন। তারা আটক আছেন। দু’দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা শেষে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।

শরীফুল ইসলাম বলেন, রোববার ভোর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে আসা বিজিপির সংখ্যা ছিল ৩৯ জন। রাত ১২টার দিকে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৮ জনে। আজ সকালে এসেছেন আরও ২৭ জন। মোট ৯৫ জন। এর বাইরে গতকালের মধ্যে আহত ১৫ জন বিজিপি সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, আরাকান আর্মি হলো মিয়ানমারের জান্তা সরকার উৎখাতে লড়াইরত কয়েকটি সংগঠনের জোট। এখানে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং টা আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মত সংগঠনের যোদ্ধারা রয়েছেন।

বর্ণিল আয়োজনে ঢাকাস্থ হাতিয়া ফোরাম এর ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনার সংখ্যা ১০৩

আপডেট সময় ০৯:১৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) আরও ৮ জন সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৩ জনে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম। এর আগে, রোববার থেকে আজ (সোমবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯৫ জনের পালিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে।

সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।

এর আগে, গতকাল প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, ১৪ জন বিজিপি সদস্য নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করেছেন। তারা আটক আছেন। দু’দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা শেষে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।

শরীফুল ইসলাম বলেন, রোববার ভোর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে আসা বিজিপির সংখ্যা ছিল ৩৯ জন। রাত ১২টার দিকে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৮ জনে। আজ সকালে এসেছেন আরও ২৭ জন। মোট ৯৫ জন। এর বাইরে গতকালের মধ্যে আহত ১৫ জন বিজিপি সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, আরাকান আর্মি হলো মিয়ানমারের জান্তা সরকার উৎখাতে লড়াইরত কয়েকটি সংগঠনের জোট। এখানে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং টা আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মত সংগঠনের যোদ্ধারা রয়েছেন।