ঢাকা ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাবিতে স্বামীকে আটক রেখে এক নারীকে ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রশিবিরের

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:২২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 162

জাবিতে স্বামীকে আটক রেখে এক নারীকে ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রশিবিরের

ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি অবিলম্বে ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার ও নতজানু প্রশাসনের সরাসরি মদদে লোমহর্ষক, নৃশংসতা ও অসভ্যতার সর্বোচ্চ ঘৃন্য নজির স্থাপন করে চলেছে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৯.৩০ মিনিটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন জঙ্গলে এই ঘৃণ্য কাজটি করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক ও ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর মত কোনো সভ্য ভাষা আমাদের জানা নেই। একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে এমন কলঙ্কজনক ঘটনা শিক্ষাঙ্গন ও ছাত্রসমাজের জন্য চরম অবমাননাকর।

আমরা সকলেই জানি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরী পালন করে জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা মানিক। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজ প্রাঙ্গণে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেছিল ছাত্রলীগের চিহ্নিত ৬ সন্ত্রাসী। কিন্তু কোন ঘটনারই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। প্রায় প্রতিদিনই দেশের নানা স্থানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা ধর্ষণ, নির্যাতন, হয়রানীর শিকার হচ্ছে নারীরা। গত কয়েক বছরে ধর্ষণের নজিরবিহীন রেকর্ড হয়েছে বাংলাদেশে। সাথে সাথে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা ও বিভৎসতা।

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। সরকার ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদেই শিক্ষাঙ্গনগুলোকে ধর্ষণ, সন্ত্রাস, মাদক ও অপকর্মের আস্তানায় পরিণত করেছে ছাত্রলীগ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষণ যেন এক মহামারিতে পরিণত হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ ধর্ষণ ও খুনের সাথে যে সরকার-দলীয় লোকজন জড়িত, তা বারবার গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। কিন্তু কোনটিরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। ফলে  স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোন জনপদেই যেন আজ নারীরা নিরাপদ নয়। সরকারের সরাসরি প্রশ্রয়ে দেশকে ধর্ষণের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে সন্ত্রাসীরা। যা গোটা জাতিকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। শিশু, তরুণী, শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা শঙ্কায় দিন যাপন করছে। এটা কোন সভ্য সমাজ বা দেশের চিত্র হতে পারে না।”

নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে বলেন, “সরকারের মদদে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক অপকর্মে জনগণ চরম ক্ষুব্ধ। দেশবাসী ও ছাত্রসমাজ সন্ত্রাসীদের কাছে তাদের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানীর এ ধারা কোনভাবেই মেনে নিবে না। সরকারের যদি বিচারহীনতা ও প্রশাসন অনৈতিক মদদ অব্যাহত রাখে তাহলে মোকাবেলা করতে ছাত্রসমাজ দেশবাসীকে সাথে নিয়ে অভিশপ্ত নরপশুদের মোকাবেলায় দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। আর তখন যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার ও প্রশাসনকে তার দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নামক এই পাপিষ্ঠ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। অনতিবিলম্বে জড়িতদের শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়াসহ দেশের সকল ক্যাম্পাস নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

জাবিতে স্বামীকে আটক রেখে এক নারীকে ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রশিবিরের

আপডেট সময় ১০:২২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি অবিলম্বে ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার ও নতজানু প্রশাসনের সরাসরি মদদে লোমহর্ষক, নৃশংসতা ও অসভ্যতার সর্বোচ্চ ঘৃন্য নজির স্থাপন করে চলেছে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৯.৩০ মিনিটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন জঙ্গলে এই ঘৃণ্য কাজটি করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক ও ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর মত কোনো সভ্য ভাষা আমাদের জানা নেই। একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে এমন কলঙ্কজনক ঘটনা শিক্ষাঙ্গন ও ছাত্রসমাজের জন্য চরম অবমাননাকর।

আমরা সকলেই জানি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরী পালন করে জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা মানিক। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজ প্রাঙ্গণে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেছিল ছাত্রলীগের চিহ্নিত ৬ সন্ত্রাসী। কিন্তু কোন ঘটনারই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। প্রায় প্রতিদিনই দেশের নানা স্থানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা ধর্ষণ, নির্যাতন, হয়রানীর শিকার হচ্ছে নারীরা। গত কয়েক বছরে ধর্ষণের নজিরবিহীন রেকর্ড হয়েছে বাংলাদেশে। সাথে সাথে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা ও বিভৎসতা।

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। সরকার ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদেই শিক্ষাঙ্গনগুলোকে ধর্ষণ, সন্ত্রাস, মাদক ও অপকর্মের আস্তানায় পরিণত করেছে ছাত্রলীগ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষণ যেন এক মহামারিতে পরিণত হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ ধর্ষণ ও খুনের সাথে যে সরকার-দলীয় লোকজন জড়িত, তা বারবার গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। কিন্তু কোনটিরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। ফলে  স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোন জনপদেই যেন আজ নারীরা নিরাপদ নয়। সরকারের সরাসরি প্রশ্রয়ে দেশকে ধর্ষণের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে সন্ত্রাসীরা। যা গোটা জাতিকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। শিশু, তরুণী, শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা শঙ্কায় দিন যাপন করছে। এটা কোন সভ্য সমাজ বা দেশের চিত্র হতে পারে না।”

নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে বলেন, “সরকারের মদদে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক অপকর্মে জনগণ চরম ক্ষুব্ধ। দেশবাসী ও ছাত্রসমাজ সন্ত্রাসীদের কাছে তাদের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানীর এ ধারা কোনভাবেই মেনে নিবে না। সরকারের যদি বিচারহীনতা ও প্রশাসন অনৈতিক মদদ অব্যাহত রাখে তাহলে মোকাবেলা করতে ছাত্রসমাজ দেশবাসীকে সাথে নিয়ে অভিশপ্ত নরপশুদের মোকাবেলায় দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। আর তখন যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার ও প্রশাসনকে তার দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নামক এই পাপিষ্ঠ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। অনতিবিলম্বে জড়িতদের শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়াসহ দেশের সকল ক্যাম্পাস নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”