ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখবে জনগণ: কাদের

নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখবে জনগণ: কাদের

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো ধরনের অপতৎপরতাকে দেশের জনগণ প্রতিহত করবে, জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই দেশের গণতন্ত্রের পথরেখা নির্ধারিত হবে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো ভিসানীতির প্রয়োগ বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। আওয়ামী লীগ পরোয়া করে দেশের জনগণকে। কোনো দেশের ভিসানীতি বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রে কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা রেখেই সরকার পরিচালনা করে আসছে। জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দ বরাবরের মতো তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দের মনে রাখা উচিত, তারা কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। বরং, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার মানবিকতার কারণে খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও নিজ বাসায় বাস করছেন এবং নিজের পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন। এ কারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু, বিএনপি তা না করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। একইসঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে আইনবিরোধী কথাবার্তা বলছে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে গায়ের জোরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দাবি আদায়ের জন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির পাঁয়তারা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জাতিকে বিভক্ত করার দুরভিসন্ধি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক চেতনা ও সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার দায় তাদের নিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করলে যেকোনো উপায়ে তা প্রতিহত করা হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব

নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখবে জনগণ: কাদের

আপডেট সময় ০৩:০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো ধরনের অপতৎপরতাকে দেশের জনগণ প্রতিহত করবে, জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই দেশের গণতন্ত্রের পথরেখা নির্ধারিত হবে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো ভিসানীতির প্রয়োগ বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। আওয়ামী লীগ পরোয়া করে দেশের জনগণকে। কোনো দেশের ভিসানীতি বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রে কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা রেখেই সরকার পরিচালনা করে আসছে। জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দ বরাবরের মতো তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দের মনে রাখা উচিত, তারা কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। বরং, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার মানবিকতার কারণে খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও নিজ বাসায় বাস করছেন এবং নিজের পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন। এ কারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু, বিএনপি তা না করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। একইসঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে আইনবিরোধী কথাবার্তা বলছে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে গায়ের জোরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দাবি আদায়ের জন্য তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির পাঁয়তারা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জাতিকে বিভক্ত করার দুরভিসন্ধি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক চেতনা ও সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার দায় তাদের নিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করলে যেকোনো উপায়ে তা প্রতিহত করা হবে।’