এডিস মশা নিধনে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সকল জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সারা দেশে মশা নিধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনসহ সারা দেশে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আজ রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সালে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। নির্দেশিকায় সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সকল অংশীজনের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা এবং দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলা কমিটির জরুরি সভা আয়োজনসহ এডিস মশা নিধনে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য সকল জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সকল জেলা হতে কর্মপরিকল্পনা পাওয়া গেছে।
সরকারি দলের মো. মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ ৬৫ হাজার আর্সেনিকমুক্ত পানির উৎস স্থাপন করা হবে। এ ক্ষেত্রে গভীর নলকূপ ছাড়াও পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, বৃষ্টির পানির সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং পুকুর খনন ও পুনঃখননসহ সৌরচালিত পন্ড স্যান্ড ফিল্টার স্থাপন করা হবে। বর্তমানে যারা আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের হার শতকরা ৫-৬ ভাগে নামে আসবে।’
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফের যৌথ জরিপ প্রতিবেদন মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ ভাগ আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে।