ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‌আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে বিএনপির সাধুবাদ Logo কুরআন দিবসে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর হাফেজ সংবর্ধনা Logo সরকারের সিদ্ধান্ত বিএনপির কথার সঙ্গে মিলে গেছে : এ্যানি Logo রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের খবরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শিবিরের আনন্দ মিছিল Logo কেরানীগঞ্জে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে “কোরআন দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল চায় এনসিপি Logo বিক্ষোভে উত্তাল তেল আবিব Logo আবারও শাহবাগ ব্লকেড জুলাই মঞ্চের Logo উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের দাবি ‘কুচক্রীমূলক’ দাবি করে বেকার মুক্তি পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

সরকার পতনে আবারও কঠোর কর্মসূচি আসছে: ফারুক

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘সরকার পতনের কর্মসূচি আসবে, সবকিছুর হিসাব নেওয়া হবে। লড়াই করে বাংলাদেশের একদলীয় শাসন বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। অথচ আপনাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। আমরা সৎ আছি, ন্যায়ের পথে আছি। এজন্য বিদেশের মাটিতে আমার নেত্রীর (খালেদা জিয়ার) এক ছটাক জায়গাজমিও নেই।’

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ আয়োজিত মানবনন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল, আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এই রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতো না, দিনের ভোট রাতে করতো না। যে নির্বাচন কমিশন দুই হাজার কোটি টাকা দিয়ে ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, সে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে ছিলেন। একেক সময় একেক কথা বলেছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একদিকে বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, অন্যদিকে তৈরি করে সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে কানাডায় বাড়ি বানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, মাংস কিনে খেতে পারে না। এসবের বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি, তখন আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।’

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যখন গণমাধ্যম সোচ্চার হয় তখন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করে না- তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। যে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার- এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। সরকার জানে ব্যাংক লুট করতে, দুর্নীতি করতে।’

মানববন্ধনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‌আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে বিএনপির সাধুবাদ

সরকার পতনে আবারও কঠোর কর্মসূচি আসছে: ফারুক

আপডেট সময় ০৩:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘সরকার পতনের কর্মসূচি আসবে, সবকিছুর হিসাব নেওয়া হবে। লড়াই করে বাংলাদেশের একদলীয় শাসন বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। অথচ আপনাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। আমরা সৎ আছি, ন্যায়ের পথে আছি। এজন্য বিদেশের মাটিতে আমার নেত্রীর (খালেদা জিয়ার) এক ছটাক জায়গাজমিও নেই।’

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ আয়োজিত মানবনন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল, আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এই রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতো না, দিনের ভোট রাতে করতো না। যে নির্বাচন কমিশন দুই হাজার কোটি টাকা দিয়ে ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, সে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে ছিলেন। একেক সময় একেক কথা বলেছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একদিকে বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, অন্যদিকে তৈরি করে সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে কানাডায় বাড়ি বানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, মাংস কিনে খেতে পারে না। এসবের বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি, তখন আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।’

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যখন গণমাধ্যম সোচ্চার হয় তখন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করে না- তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। যে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার- এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। সরকার জানে ব্যাংক লুট করতে, দুর্নীতি করতে।’

মানববন্ধনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।