ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে ৫০ বছরও লাগতে পারে: আইনমন্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 315

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে ৫০ বছরও লাগতে পারে: আইনমন্ত্রী

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আসল দোষীকে চিহ্নিত করতে যতদিন সময় লাগে, ততদিন সময় দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচারে কেন বিলম্ব হচ্ছে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাগর-রুনিকে নিয়ে কথা বলবেন… আমি বুঝলাম। কিন্তু এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে কি জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়াটা কি ঠিক? তাদের তদন্তে সঠিকভাবে দোষীকে নির্ণয় করতে তাদের সময় দিতে হবে, তাতে যদি ৫০ বছর লাগে, তাহলে ৫০ বছর সময় দিতে হবে।

তাহলে কি আমরা এই রায়ের জন্য ৫০ বছর অপেক্ষা করব? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর তড়িত বিচার হচ্ছে। যেখানে অপরাধীকে ধরা যাচ্ছে না, তদন্ত শেষ করতে পারছে না, সেখানে অবশ্যই তাদের সময় দিতে হবে।

দ্রুত বিচার আইনটিকে সোমবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থায়ী করা হচ্ছে। ২০০২ সালে বিএনপি সরকার যখন এই আইনটি পাস করে, তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। তখন আওয়ামী লীঘ আইনটি নিয়ে তুখোড় সমালোচনা করেছে। অভিযোগ ছিল, বিরোধীদের দমন করতেই এটি করা হয়েছে। কিন্তু এখন এসে আইনটি স্থায়ী করা হয়েছে, সেটি নিয়ে কী বলবেন? এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০২ সালে আইনটি করার পর… সাতক্ষীরা ও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার চালানো হয়েছে। যদি আওয়ামী লীগ সেই সময় আইনটির বিরোধিতা করে থাকে, আমার মনে হয় না সেটি খুব অন্যায় বা অযৌক্তিক হয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা এবং তারপরে সন্ত্রাসবাদ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা দেখলে পরে দেখা যাবে এমন একটি আইনের প্রয়োজন। আপনারা যদি সেটা দেখে থাকেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই আইনের অপব্যবহার করেনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে ৫০ বছরও লাগতে পারে: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আসল দোষীকে চিহ্নিত করতে যতদিন সময় লাগে, ততদিন সময় দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচারে কেন বিলম্ব হচ্ছে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাগর-রুনিকে নিয়ে কথা বলবেন… আমি বুঝলাম। কিন্তু এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে কি জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়াটা কি ঠিক? তাদের তদন্তে সঠিকভাবে দোষীকে নির্ণয় করতে তাদের সময় দিতে হবে, তাতে যদি ৫০ বছর লাগে, তাহলে ৫০ বছর সময় দিতে হবে।

তাহলে কি আমরা এই রায়ের জন্য ৫০ বছর অপেক্ষা করব? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর তড়িত বিচার হচ্ছে। যেখানে অপরাধীকে ধরা যাচ্ছে না, তদন্ত শেষ করতে পারছে না, সেখানে অবশ্যই তাদের সময় দিতে হবে।

দ্রুত বিচার আইনটিকে সোমবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থায়ী করা হচ্ছে। ২০০২ সালে বিএনপি সরকার যখন এই আইনটি পাস করে, তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। তখন আওয়ামী লীঘ আইনটি নিয়ে তুখোড় সমালোচনা করেছে। অভিযোগ ছিল, বিরোধীদের দমন করতেই এটি করা হয়েছে। কিন্তু এখন এসে আইনটি স্থায়ী করা হয়েছে, সেটি নিয়ে কী বলবেন? এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০২ সালে আইনটি করার পর… সাতক্ষীরা ও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার চালানো হয়েছে। যদি আওয়ামী লীগ সেই সময় আইনটির বিরোধিতা করে থাকে, আমার মনে হয় না সেটি খুব অন্যায় বা অযৌক্তিক হয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা এবং তারপরে সন্ত্রাসবাদ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা দেখলে পরে দেখা যাবে এমন একটি আইনের প্রয়োজন। আপনারা যদি সেটা দেখে থাকেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই আইনের অপব্যবহার করেনি।