ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে নির্বাচন দিন: ইশরাক হোসেন Logo ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস, রাবি ছাত্রদলের ২ নেতাকে অব্যাহতি Logo কুমিল্লায় মুজিবনগর সরকার ঘোষণার গুঞ্জনে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল Logo রিজার্ভে হাত না দিয়েই ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ Logo ‘আপনারা না পারলে সিস্টেম ভেঙে নতুনদের নিয়োগ দেওয়া হবে’ Logo ‘মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী আর এমপির ছেলে এমপি হবে, এটা চলতে দেওয়া হবে না’ Logo বিশ্ব দরবারে ছাত্র-জনতার আন্দোলন তুলে ধরল শিবির Logo গণঅভ্যুত্থানে আহত পথশিশুদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান Logo জনগণ স্বৈরশাসক দেখতে চায় না: জামায়াত আমির Logo সাংবাদিকদের সাথে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে চার মন্ত্রণালয় কাজ করবে

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:১২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • 104

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে চার মন্ত্রণালয় কাজ করবে

রমজান মাসের আগে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করণীয় তা ঠিক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেছেন, আসন্ন রমজানে চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল এসব পণ্যের দাম বা বাজার কেউ যাতে অস্থিতিশীল করতে না পারে, নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য একসঙ্গে বসা হবে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল এসব পণ্যের শুল্ক হ্রাসের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২২ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গত বৃহস্পতিবার তারা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এনবিআর কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সে বিষয়ে তাদেরকে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের পরমার্শ দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

সম্প্রতি চারটি পণ্যের শুল্ক কমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেগুলো হলো—চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চাল হচ্ছে খাদ্য অধিদপ্তরের বিষয়। চালের বাজার, মজুত ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব খাদ্য অধিদপ্তরের। আর কৃষিপণ্যের বাজারের দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের। প্রতিদিন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কিছু কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ, খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য ও ঢাকা মহানগরীতে পাইকারি বাজার দর প্রকাশ করে।’

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এখন চার মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারের কী বিষয়ে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করব। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বসতে পারিনি। ওমরাহ পালন করার জন্য দেশের বাইরে আছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি দেশে আসলেই কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারটাকে কীভাবে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা যায় এবং কার কী ভূমিকা, কে কী করবেন, তা নিয়ে কাজ শুরু করব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুটো পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) আছে। একটি চিনি, অন্যটি ভোজ্যতেল। বাজারে যেসব পণ্য নিয়ে বেশি আলাপ হয়, তার মধ্যে এ দুটো আছে। এ বিষয়ে বলছি যে, গত ২২ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বলা হয়েছে, যাতে শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়। এটা আমি এরইমধ্যে বলেছি। গত সোমবারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা স্বস্তি আসবে।

এর আগেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার আমি কী করতে পারি? আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, সেটার জবাব কী হতে পারে? এবার যদি না হয়, তখন আপনি বলতে পারেন, আপনি করলেন, করার পরেও হলো না।

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে নির্বাচন দিন: ইশরাক হোসেন

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে চার মন্ত্রণালয় কাজ করবে

আপডেট সময় ০৯:১২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

রমজান মাসের আগে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করণীয় তা ঠিক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেছেন, আসন্ন রমজানে চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল এসব পণ্যের দাম বা বাজার কেউ যাতে অস্থিতিশীল করতে না পারে, নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য একসঙ্গে বসা হবে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল এসব পণ্যের শুল্ক হ্রাসের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২২ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গত বৃহস্পতিবার তারা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এনবিআর কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সে বিষয়ে তাদেরকে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের পরমার্শ দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

সম্প্রতি চারটি পণ্যের শুল্ক কমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেগুলো হলো—চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চাল হচ্ছে খাদ্য অধিদপ্তরের বিষয়। চালের বাজার, মজুত ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব খাদ্য অধিদপ্তরের। আর কৃষিপণ্যের বাজারের দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের। প্রতিদিন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কিছু কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ, খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য ও ঢাকা মহানগরীতে পাইকারি বাজার দর প্রকাশ করে।’

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এখন চার মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারের কী বিষয়ে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করব। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বসতে পারিনি। ওমরাহ পালন করার জন্য দেশের বাইরে আছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি দেশে আসলেই কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারটাকে কীভাবে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা যায় এবং কার কী ভূমিকা, কে কী করবেন, তা নিয়ে কাজ শুরু করব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুটো পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) আছে। একটি চিনি, অন্যটি ভোজ্যতেল। বাজারে যেসব পণ্য নিয়ে বেশি আলাপ হয়, তার মধ্যে এ দুটো আছে। এ বিষয়ে বলছি যে, গত ২২ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বলা হয়েছে, যাতে শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়। এটা আমি এরইমধ্যে বলেছি। গত সোমবারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা স্বস্তি আসবে।

এর আগেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার আমি কী করতে পারি? আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, সেটার জবাব কী হতে পারে? এবার যদি না হয়, তখন আপনি বলতে পারেন, আপনি করলেন, করার পরেও হলো না।