ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু Logo জাবির সহকারী প্রক্টরকে সম্মাননা জানালো Traditional She Logo দুর্গাপূজায় সরকারি কর্মচারীরা পাবে টানা ৪ দিনের ছুটি Logo আজ মাহামুদুর রহমানকে জেরা করবেন শেখ হাসিনার আইনজীবী Logo দেশ-বিদেশে আলো ছড়াচ্ছে তানযীমুল উম্মাহর শিক্ষার্থীরা : আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি Logo এমবাপ্পের জোড়া গোলে ইতিহাস গড়া জয় রিয়ালের Logo জামায়াতের নয়, এনসিপির নেতৃত্বেই আসতে পারে নতুন জোট Logo সুপার ফোরে যেতে যে সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ Logo ঢাকায় বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অফিস Logo অসাধারণ অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য প্রধান উপদেষ্ঠার প্রশংসা করলেন আইএমএফ প্রধান

গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে : পিটার হাস

গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে : পিটার হাস

ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারসাম্য রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করছে। সরকারপন্থী, সরকারবিরোধী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম—বাংলাদেশের যে কেউ ভিসানীতির শিকার হতে পারেন। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা দেখা হচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।

তিনি বলেন, কতজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো তা মুখ্য বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন। এদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার রবিবার বিকেলে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন কোন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে এবং তাদের সংখ্যা কত তা প্রকাশ করবে না।

ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন—এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে বলেও একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে সেটি আমরা জানি না। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় চিহ্নিত কোনো বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।

এমনকি ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও ভিসা বিধি-নিষেধের আওতায় পড়তে পারেন। ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানাতে পারব না। আমি আপনাকে যা বলতে পারি তা হলো, আমরা আমাদের গতিশীল এবং বহুমুখী সম্পর্কের অংশ হিসেবে সব ধরনের সমস্যা সম্পর্কে যোগাযোগ করি।’ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই ভিসা বিধি-নিষেধের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা জনসম্মুখে প্রকাশ করব না। মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসার রেকর্ড গোপনীয়।

মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা ভিসানীতি ঘোষণা করার পর থেকে মার্কিন সরকার ঘটনাগুলো খুব নিবিড়ভাবে দেখেছে। তথ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু

গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে : পিটার হাস

আপডেট সময় ১০:২০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারসাম্য রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করছে। সরকারপন্থী, সরকারবিরোধী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম—বাংলাদেশের যে কেউ ভিসানীতির শিকার হতে পারেন। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা দেখা হচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।

তিনি বলেন, কতজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো তা মুখ্য বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন। এদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার রবিবার বিকেলে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন কোন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে এবং তাদের সংখ্যা কত তা প্রকাশ করবে না।

ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন—এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে বলেও একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে সেটি আমরা জানি না। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় চিহ্নিত কোনো বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।

এমনকি ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও ভিসা বিধি-নিষেধের আওতায় পড়তে পারেন। ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানাতে পারব না। আমি আপনাকে যা বলতে পারি তা হলো, আমরা আমাদের গতিশীল এবং বহুমুখী সম্পর্কের অংশ হিসেবে সব ধরনের সমস্যা সম্পর্কে যোগাযোগ করি।’ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই ভিসা বিধি-নিষেধের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা জনসম্মুখে প্রকাশ করব না। মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসার রেকর্ড গোপনীয়।

মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা ভিসানীতি ঘোষণা করার পর থেকে মার্কিন সরকার ঘটনাগুলো খুব নিবিড়ভাবে দেখেছে। তথ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছি।’