ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে Logo ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা Logo তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলে ১০ দমকলকর্মী নিহত Logo সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার Logo মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: ফুল কুুঁড়ি কোম্পানীগঞ্জ শাখার দোয়ার অনুষ্ঠান Logo নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের ২০২৫ সালের জন্য নতুন সভাপতি-আকরাম, সেক্রেটারি-সিফাত Logo ‘কাইন্দেন না’ বলতেই আরও বেশি কাঁদলেন পলক Logo পদত্যাগের ইচ্ছা নেই, সরকার বললে চলে যাবো: শিক্ষা উপদেষ্টা Logo আসামি ছাড়িয়ে নিতে থানায় বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি Logo নির্বাচনে কালো টাকার খেলা ও মাস্তানতন্ত্র বরদাশত করা হবে না: জামায়াত আমির

গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে : পিটার হাস

গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে : পিটার হাস

ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারসাম্য রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করছে। সরকারপন্থী, সরকারবিরোধী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম—বাংলাদেশের যে কেউ ভিসানীতির শিকার হতে পারেন। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা দেখা হচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।

তিনি বলেন, কতজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো তা মুখ্য বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন। এদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার রবিবার বিকেলে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন কোন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে এবং তাদের সংখ্যা কত তা প্রকাশ করবে না।

ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন—এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে বলেও একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে সেটি আমরা জানি না। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় চিহ্নিত কোনো বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।

এমনকি ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও ভিসা বিধি-নিষেধের আওতায় পড়তে পারেন। ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানাতে পারব না। আমি আপনাকে যা বলতে পারি তা হলো, আমরা আমাদের গতিশীল এবং বহুমুখী সম্পর্কের অংশ হিসেবে সব ধরনের সমস্যা সম্পর্কে যোগাযোগ করি।’ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই ভিসা বিধি-নিষেধের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা জনসম্মুখে প্রকাশ করব না। মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসার রেকর্ড গোপনীয়।

মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা ভিসানীতি ঘোষণা করার পর থেকে মার্কিন সরকার ঘটনাগুলো খুব নিবিড়ভাবে দেখেছে। তথ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে : পিটার হাস

আপডেট সময় ১০:২০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমও ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারসাম্য রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করছে। সরকারপন্থী, সরকারবিরোধী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম—বাংলাদেশের যে কেউ ভিসানীতির শিকার হতে পারেন। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা দেখা হচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।

তিনি বলেন, কতজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো তা মুখ্য বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন। এদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার রবিবার বিকেলে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন কোন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে এবং তাদের সংখ্যা কত তা প্রকাশ করবে না।

ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন—এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে বলেও একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে সেটি আমরা জানি না। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় চিহ্নিত কোনো বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।

এমনকি ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও ভিসা বিধি-নিষেধের আওতায় পড়তে পারেন। ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানাতে পারব না। আমি আপনাকে যা বলতে পারি তা হলো, আমরা আমাদের গতিশীল এবং বহুমুখী সম্পর্কের অংশ হিসেবে সব ধরনের সমস্যা সম্পর্কে যোগাযোগ করি।’ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই ভিসা বিধি-নিষেধের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা জনসম্মুখে প্রকাশ করব না। মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসার রেকর্ড গোপনীয়।

মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা ভিসানীতি ঘোষণা করার পর থেকে মার্কিন সরকার ঘটনাগুলো খুব নিবিড়ভাবে দেখেছে। তথ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছি।’