মিয়ানমারে স্নাইপারের গুলিতে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। হেলিকপ্টারটি অবতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্রটি জানিয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন নাউং, তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং দুই পাইলটকে এক ‘স্নাইপার’ গুলি করে হত্যা করেছে।
সে সময় হেলিকপ্টারটি থাই সীমান্তের মায়াওয়াদ্দির কাছে পূর্ব থিঙ্গানিনাং শহরে অবতরণের অপেক্ষায় ছিল। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি জানায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পরে মারা যান। হেলিকপ্টারে থাকা আরো দুজন সেনা ‘বেঁচে গেছেন’। এ বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
কতজন স্নাইপার হেলিকপ্টারে গুলি করেছেন বা এর পেছনে কারা দায়ী তা-ও বলেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় গণমাধ্যম ঘটনার পরের অবস্থা দেখানোর জন্য ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, একটি ছোট হেলিকপ্টার মাঠে কাত হয়ে পড়ে আছে। একটি স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি একটি দুই ইঞ্জিনের ইউরোকপ্টার ৩৬৫।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জাতিগত সংখ্যালঘু যোদ্ধা এবং সহযোগী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’-এর গ্রুপগুলোর সঙ্গে মায়াওয়াদ্দির আশপাশে নিয়মিত সংঘর্ষে জড়িয়েছে জান্তা। এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হলেন সর্বশেষ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যাঁকে চলমান লড়াইয়ে হত্যা করা হয়েছে। জান্তা দেশের বিভিন্ন অংশে অভ্যুত্থানবিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করছে।
এর আগে নভেম্বরে সংঘর্ষের মধ্যে একটি সামরিক সূত্র এএফপিকে জানায়, চীন সীমান্তের কাছে মনকোয়ে একটি ড্রোন থেকে ফেলা বোমায় একটি হালকা পদাতিক ব্যাটালিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিহত হয়েছেন।
এএফপির তথ্য অনুসারে, প্রতিবেশী কোকাং অঞ্চলে জাতিগত সংখ্যালঘু যোদ্ধাদের একটি জোটের কাছে দুই হাজারেরও বেশি সেনা নিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য ছয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন।
নভেম্বরে একটি হালকা যুদ্ধবিমান দুই পাইলটকে নিয়ে দেশের পূর্ব দিকে বিধ্বস্ত হয়, যেখানে যুদ্ধ চলছে। অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনী বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে। তবে জান্তা জানিয়েছে, ইঞ্জিনের ব্যর্থতার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বিমানটি। মিয়ানমার ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সংঘাতের শিকার হয়েছে। একাধিক সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী বিভিন্ন ফ্রন্টে জান্তার সঙ্গে লড়াই করছে।