ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সামনে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তারা যেন পুরুষ হয়: আমির হামজা Logo কমেছে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব, বেড়েছে রাত-দিনের তাপমাত্রা Logo আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরের বোলিং নিষেধাজ্ঞায় সাকিব Logo সহকারী কমিশনার নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জন Logo রিজার্ভ চুরির ৮০ শতাংশ অর্থ ফেরত এসেছে: গভর্নর Logo বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গরু চুরি করে কর্মীদের আপ্যায়নের অভিযোগ Logo ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে তারেক রহমানকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ Logo গোপালগঞ্জে ক্যালেন্ডার বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০ Logo সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলাই রাজনৈতিক: পুলিশের অনুসন্ধান Logo খেলাফত মজলিসের নতুন আমির মামুনুল হক

জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জি কে গউছ

জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জি কে গউছ

প্রায় পাঁচ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারা ফটকে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। পরে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীরা জি কে গউছকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।

মুক্তির পর জি কে গউছ বলেন, আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপির আন্দোলন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যে আন্দোলনে আমরা ছিলাম, সে আন্দোলনে আমরা আছি। আমাদেরকে আমাদের নীতি থেকে আলাদা করা যাবে না। যত মামলাই আসুক খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে না এনে আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাব না।

বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক করে রেখেছিল। ১৫৪ দিন বিনা অপরাধে ৪টি মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। হাইকোর্টের আদেশে আজ আমি মুক্তি পেয়েছি। আমাদের অসংখ্য মানুষ আজ দেশের কারাগারগুলোতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সেখানে না রেখে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আটক করে রাখা হয়েছিল। আমার আপন খালা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার মামা মারা গেছেন। কিন্তু আমাকে তাদের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। অসংখ্য মানুষের জানাজা থেকে, জুমার নামাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুলিশের দায়ের করা কয়েকটি মামলায় গত বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরার পথে ঢাকায় ডিবি পুলিশ জি কে গউছকে আটক করে। পরদিন ৩০ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ঢাকা সিএমএম কোর্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সামনে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তারা যেন পুরুষ হয়: আমির হামজা

জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জি কে গউছ

আপডেট সময় ০৬:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

প্রায় পাঁচ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারা ফটকে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। পরে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীরা জি কে গউছকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।

মুক্তির পর জি কে গউছ বলেন, আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপির আন্দোলন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যে আন্দোলনে আমরা ছিলাম, সে আন্দোলনে আমরা আছি। আমাদেরকে আমাদের নীতি থেকে আলাদা করা যাবে না। যত মামলাই আসুক খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে না এনে আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাব না।

বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক করে রেখেছিল। ১৫৪ দিন বিনা অপরাধে ৪টি মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। হাইকোর্টের আদেশে আজ আমি মুক্তি পেয়েছি। আমাদের অসংখ্য মানুষ আজ দেশের কারাগারগুলোতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সেখানে না রেখে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আটক করে রাখা হয়েছিল। আমার আপন খালা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার মামা মারা গেছেন। কিন্তু আমাকে তাদের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। অসংখ্য মানুষের জানাজা থেকে, জুমার নামাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুলিশের দায়ের করা কয়েকটি মামলায় গত বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরার পথে ঢাকায় ডিবি পুলিশ জি কে গউছকে আটক করে। পরদিন ৩০ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ঢাকা সিএমএম কোর্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।