ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চাকসু প্রার্থীকে হেনস্তা করতে ফেইক আইডি খুলে অপপ্রচার Logo ছাত্রশিবিরকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের মিথ্যাচারপূর্ণ সংবাদের নিন্দা প্রকাশ Logo রাকসু নির্বাচন জরিপে শীর্ষ তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রশিবির Logo চাকসুতে শীর্ষ ৩পদে এগিয়ে ছাত্রশিবির: সোচ্চারের জরীপ Logo দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, রাত পেরোলেই চাকসু নির্বাচন Logo শাজাহানপুরে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির ১২ নেতাকর্মী Logo মাদাগাস্কারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলো সেনাবাহিনী Logo রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী ফ্র্যাগরেন্স এক্সিবিশন শুরু শুক্রবার Logo ছন্দে থাকা ব্রাজিলকে হারিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচালো জাপান Logo শিক্ষকদের আন্দোলনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন সহ যেসব দল-সংগঠনের একাত্মতা প্রকাশ

জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জি কে গউছ

জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জি কে গউছ

প্রায় পাঁচ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারা ফটকে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। পরে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীরা জি কে গউছকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।

মুক্তির পর জি কে গউছ বলেন, আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপির আন্দোলন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যে আন্দোলনে আমরা ছিলাম, সে আন্দোলনে আমরা আছি। আমাদেরকে আমাদের নীতি থেকে আলাদা করা যাবে না। যত মামলাই আসুক খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে না এনে আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাব না।

বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক করে রেখেছিল। ১৫৪ দিন বিনা অপরাধে ৪টি মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। হাইকোর্টের আদেশে আজ আমি মুক্তি পেয়েছি। আমাদের অসংখ্য মানুষ আজ দেশের কারাগারগুলোতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সেখানে না রেখে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আটক করে রাখা হয়েছিল। আমার আপন খালা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার মামা মারা গেছেন। কিন্তু আমাকে তাদের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। অসংখ্য মানুষের জানাজা থেকে, জুমার নামাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুলিশের দায়ের করা কয়েকটি মামলায় গত বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরার পথে ঢাকায় ডিবি পুলিশ জি কে গউছকে আটক করে। পরদিন ৩০ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ঢাকা সিএমএম কোর্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকসু প্রার্থীকে হেনস্তা করতে ফেইক আইডি খুলে অপপ্রচার

জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা জি কে গউছ

আপডেট সময় ০৬:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

প্রায় পাঁচ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারা ফটকে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। পরে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীরা জি কে গউছকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।

মুক্তির পর জি কে গউছ বলেন, আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপির আন্দোলন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যে আন্দোলনে আমরা ছিলাম, সে আন্দোলনে আমরা আছি। আমাদেরকে আমাদের নীতি থেকে আলাদা করা যাবে না। যত মামলাই আসুক খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে না এনে আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাব না।

বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক করে রেখেছিল। ১৫৪ দিন বিনা অপরাধে ৪টি মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। হাইকোর্টের আদেশে আজ আমি মুক্তি পেয়েছি। আমাদের অসংখ্য মানুষ আজ দেশের কারাগারগুলোতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সেখানে না রেখে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আটক করে রাখা হয়েছিল। আমার আপন খালা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার মামা মারা গেছেন। কিন্তু আমাকে তাদের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। অসংখ্য মানুষের জানাজা থেকে, জুমার নামাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুলিশের দায়ের করা কয়েকটি মামলায় গত বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরার পথে ঢাকায় ডিবি পুলিশ জি কে গউছকে আটক করে। পরদিন ৩০ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ঢাকা সিএমএম কোর্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।