ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাসে ফেরানোর দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাসে ফেরানোর দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
আজকের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে শিগগির সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের অংশটুকু ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।
একই অনুষ্ঠানে শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্প নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনও। তার বক্তব্যের ভিডিওটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে আর ক্লাসে না যাওয়ার জন্য জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফিসিয়ালি আমাকে এখনো চাকরিচ্যুত করা হয়নি। তেমন কোনো চিঠিও পাইনি। তবে সব ক্লাস থেকে আমাকে প্রত্যাহার করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
জানতে চাইলে ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) প্রক্টর অধ্যাপক খসরু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনকে ক্লাস থেকে প্রত্যাহারের কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠিও ইস্যু করা হয়নি। আমরাও বিষয়টি জানি না। বিভাগ থেকে তাকে যদি আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়, তখন আমরা নিশ্চিত হতে পারবো। এর আগে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।