ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত চলমান প্রকল্প শেষ করে নতুন প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:২৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • 139

দ্রুত চলমান প্রকল্প শেষ করে নতুন প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই করে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেগুলোর খরচ কম হবে সেগুলো আমাদের দ্রুত শেষ করতে জন্য হবে। কারণ আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি আমরা সেগুলো শেষ করতে পারব তত বেশি সুবিধা পাব। আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের সভায় সভাপত্বিকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে দেরি না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটা প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পর এর ফলাফল পাই, তারপর আরেকটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করি। আপনাদের অনুরোধ করব, এখন সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেটা আমাদের বেছে নিতে হবে। এগুলো চিহ্নিত করতে হবে, কোন প্রকল্পগুলো সামান্য কিছু টাকা দিলেই আমরা শেষ করে ফেলতে পারব।

প্রকল্পগুলো যত দ্রুত শেষ করে ফেলা যায় ততই ভালো। কারণ একটি প্রকল্প শেষ হলে তার ফলাফল আসে। আমরা লাভবান হই এবং নতুন প্রকল্প নিতে পারি। কাজেই এখানে দীর্ঘসূত্রতা যেন না হয়, বারবার যেন প্রকল্প সম্পন্ন দেরি না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকগুলো প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। সেটা কিন্তু হতে দেওয়া যাবে না। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়কে সেভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে। আমরা যখন কোনো উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা হাতে নিই সে সময় খেয়াল রাখতে হবে কোনটা আমার দেশের জন্য প্রযোজ্য এবং প্রয়োজন। অনেক সময় প্রকল্প পরিচালনার জন্য আমরা এডিবি বা বিশ্বব্যাংক বা অন্যান্য সংস্থা বা দেশ থেকে থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যেটা আসবে ২০২৬ সালে আমাদের গ্র্যাজুয়েশন কার্যকর শুরু হবে। সেখানে আমরা কী কী সুবিধা পাব আর কোনটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেটা আমাদের বাছাই করতে হবে। আমরা সেভাবে কাজ শুরু করব। এর সাথে এলডিসি হিসেবে যে সুবিধাগুলো আমরা পেতাম সেগুলো অনেকগুলো কিন্তু আমরা পাব না, যদিও এগুলো প্রস্তাব করেছি—২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলো আমরা কিভাবে মোকাবেলা করব।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি দেশের জন্য যুদ্ধের ফলাফল খারাপ। কারণ মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, অনেক কিছুই আমরা উৎপাদন করি, কিন্তু যেসব পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদন কম হয় বা আমদানি করতে হয় সেসব পণ্যের মূল্য এবং পরিবহন ব্যয় অত্যধিক বেড়ে গেছে। তারপর ঋণের সুদ বেড়ে যাওয়া এর একটা বিরাট চাপ আমাদের অর্থনীতির ওপর পড়েছে।’ এ সময় কভিড-১৯ চলাকালীন বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া থেকে সরকারের কভিড মোকাবেলার সাফল্যের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্রুত চলমান প্রকল্প শেষ করে নতুন প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০৭:২৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই করে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেগুলোর খরচ কম হবে সেগুলো আমাদের দ্রুত শেষ করতে জন্য হবে। কারণ আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি আমরা সেগুলো শেষ করতে পারব তত বেশি সুবিধা পাব। আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের সভায় সভাপত্বিকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে দেরি না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটা প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পর এর ফলাফল পাই, তারপর আরেকটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করি। আপনাদের অনুরোধ করব, এখন সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেটা আমাদের বেছে নিতে হবে। এগুলো চিহ্নিত করতে হবে, কোন প্রকল্পগুলো সামান্য কিছু টাকা দিলেই আমরা শেষ করে ফেলতে পারব।

প্রকল্পগুলো যত দ্রুত শেষ করে ফেলা যায় ততই ভালো। কারণ একটি প্রকল্প শেষ হলে তার ফলাফল আসে। আমরা লাভবান হই এবং নতুন প্রকল্প নিতে পারি। কাজেই এখানে দীর্ঘসূত্রতা যেন না হয়, বারবার যেন প্রকল্প সম্পন্ন দেরি না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকগুলো প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। সেটা কিন্তু হতে দেওয়া যাবে না। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়কে সেভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে। আমরা যখন কোনো উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা হাতে নিই সে সময় খেয়াল রাখতে হবে কোনটা আমার দেশের জন্য প্রযোজ্য এবং প্রয়োজন। অনেক সময় প্রকল্প পরিচালনার জন্য আমরা এডিবি বা বিশ্বব্যাংক বা অন্যান্য সংস্থা বা দেশ থেকে থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যেটা আসবে ২০২৬ সালে আমাদের গ্র্যাজুয়েশন কার্যকর শুরু হবে। সেখানে আমরা কী কী সুবিধা পাব আর কোনটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেটা আমাদের বাছাই করতে হবে। আমরা সেভাবে কাজ শুরু করব। এর সাথে এলডিসি হিসেবে যে সুবিধাগুলো আমরা পেতাম সেগুলো অনেকগুলো কিন্তু আমরা পাব না, যদিও এগুলো প্রস্তাব করেছি—২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলো আমরা কিভাবে মোকাবেলা করব।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি দেশের জন্য যুদ্ধের ফলাফল খারাপ। কারণ মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, অনেক কিছুই আমরা উৎপাদন করি, কিন্তু যেসব পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদন কম হয় বা আমদানি করতে হয় সেসব পণ্যের মূল্য এবং পরিবহন ব্যয় অত্যধিক বেড়ে গেছে। তারপর ঋণের সুদ বেড়ে যাওয়া এর একটা বিরাট চাপ আমাদের অর্থনীতির ওপর পড়েছে।’ এ সময় কভিড-১৯ চলাকালীন বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া থেকে সরকারের কভিড মোকাবেলার সাফল্যের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।