ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস Logo লিটনকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা Logo নীতি পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতার পদ স্থগ Logo ফ্যাসিবাদী বিজেপি’ ও মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয় Logo শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার Logo গোপালগঞ্জে একসঙ্গে আওয়ামী লীগের ৮ নেতার পদত্যাগ Logo দীর্ঘ এক যুগ পর লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ‘দ্বি-বার্ষিক’ সম্মেলন সম্পন্ন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন নেতৃত্ব Logo নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ মিলল মেঘনা নদীতে Logo এবার জাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলে তারিকুল-নিগার সুলতানা দম্পতি Logo ফটিকছড়িতে ৩ কিশোরকে গণপিটুনি, ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু

জামিনে মুক্ত হলেন ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজা পড়া সেই ছাত্রদল নেতা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • 333

জামিনে মুক্ত হলেন ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজা পড়া সেই ছাত্রদল নেতা

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডান্ডাবেড়ি পরে বাবার জানাজায় অংশ নেওয়া ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারী) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম এরসাদুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। নাজমুল মৃধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. জাকারিয়া আহমেদ তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুলের আইনজীবী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর বাড়ির সামনে থেকে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় ১২ জানুয়ারি রাতে তার বাবা মোতালেব হোসেন মৃধা বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্বজনেরা জানান, বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ১৩ জানুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন নাজমুলের বড় ভাই মো. রাসেল মৃধা। ওই দিন বেলা একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে শেষবারের মতো বাবার লাশ দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে নাজমুলকে বাড়িতে আনে পুলিশ। জানাজার সময় হাতকড়া খুলে দিলেও তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়নি পুলিশ। প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নানা সমালোচনা দেখা দেয়।

নাজমুলের বড় ভাই রাসেল মৃধা বলেন, নাজমুল জামিনে মুক্তি পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন। বাড়িতে ফিরে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস

জামিনে মুক্ত হলেন ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজা পড়া সেই ছাত্রদল নেতা

আপডেট সময় ০১:৩৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডান্ডাবেড়ি পরে বাবার জানাজায় অংশ নেওয়া ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারী) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম এরসাদুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। নাজমুল মৃধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. জাকারিয়া আহমেদ তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুলের আইনজীবী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর বাড়ির সামনে থেকে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় ১২ জানুয়ারি রাতে তার বাবা মোতালেব হোসেন মৃধা বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্বজনেরা জানান, বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ১৩ জানুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন নাজমুলের বড় ভাই মো. রাসেল মৃধা। ওই দিন বেলা একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে শেষবারের মতো বাবার লাশ দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে নাজমুলকে বাড়িতে আনে পুলিশ। জানাজার সময় হাতকড়া খুলে দিলেও তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়নি পুলিশ। প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নানা সমালোচনা দেখা দেয়।

নাজমুলের বড় ভাই রাসেল মৃধা বলেন, নাজমুল জামিনে মুক্তি পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন। বাড়িতে ফিরে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।