ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নসম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে এবং জানাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নৈসর্গিক শোভার লীলাভূমি নেত্রকোনায়। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে নেত্রকোনার বিজয়পুরে সাদামাটির পাহাড়ের সামনে। নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় ইত্যাদি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে নেত্রকোনায় ছিল উৎসবের আমেজ।
অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। এবারের অনুষ্ঠানে নেত্রকোনার সন্তান কুদ্দুস বয়াতী এবং ইসলাম উদ্দিন পালাকার একসঙ্গে তাদের পরিচিত ঢংয়ে এ অঞ্চলের দু’টি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়াও নেত্রকোনাকে নিয়ে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদীর সংগীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন স্থানীয় দুই শতাধিক গারো, হাজং ও বাঙালি নৃত্যশিল্পী।
কোরিওগ্রাফি করেছেন মালা মার্থা আরেং, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম। দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান নেত্রকোনাকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে চারজন দর্শক নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক মলয় কুমার গাঙ্গুলী। এবারের পর্বে রয়েছে পাহাড়-নদীর নান্দনিক স্বপ্নিল সৌন্দর্যে ঘেরা নেত্রকোনার ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিভিন্ন প্রত্ননিদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন এবং কীর্তিমান ব্যক্তিদের ওপর তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ট্রেনের যাত্রী, গার্ড ও চালকের কাছে ভয়ঙ্কর আতঙ্ক। এ বিষয়ে প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছে একদল তরুণ-তরুণী। ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয় তাদের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম। রয়েছে মৌলভীবাজারের অমলেন্দু কুমার দাশের ওপর মানবিক প্রতিবেদন। রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত গিয়ংবকগাং প্রাসাদের ওপর প্রতিবেদন।
এছাড়াও সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। টেলিভিশন প্রযুক্তির উন্নয়ন বনাম অনুষ্ঠানের মানের অবনমন, ইন্টারনেট আসক্তির নেতিবাচক প্রভাব, ভুলে ভরা জীবন, সবিনয়ে আমন্ত্রণ-ক্রোধে প্রত্যাখ্যান, ভোট ভিখারি, ইউটিউবে টাকা কামানোর ধান্দা, সেলফি ভাইরাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রয়েছে নাট্যাংশ। এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন- শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসেবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিক্স লিমিটেড। ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।