দুর্নীতির দায়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। একই সঙ্গে ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাকে। আজ (মঙ্গলবার) এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
অপরাধ প্রমাণের পর তাকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলস নিষিদ্ধ হওয়ার পর নাসিরের নিষেধাজ্ঞা সময়ের অপেক্ষা ছিল। কারণ, প্রায় একই অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন দুজন। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টেন ক্রিকেট লিগে খেলার সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার নেন নাসির।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে জানানো হয়েছিল, ২.৪.৩ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়ে তথ্য জানাতে ব্যর্থ হন তিনি। একই সঙ্গে ২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাকে কোনভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা তা নিয়েও পরিস্কার ধারণা দিতে পারেননি এই অলরাউন্ডার।
নাসিরের বিরুদ্ধে ২.৪.৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয় যে, দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন বা কোন যুক্তি ছাড়াই তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান। নাসির বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।