ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে ৩ ধাপ এগিয়েছে

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • 149

বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে ৩ ধাপ এগিয়েছে

বাংলাদেশ চলতি বছর সামরিক শক্তির বিচারে বিশ্বে ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালে তা ছিল ৪০তম। সেই হিসাবে চলতি বছর বাংলাদেশের অবস্থান আগের বছরের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডটকমের সর্বশেষ সূচকে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডটকম। ২০২৪ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে ৬ জানুয়ারি।

কোনো দেশের সশস্ত্র বাহিনীর আকার, অর্থনৈতিক অবস্থা, লজিস্টিক সক্ষমতা ও ভৌগোলিক অবস্থানের মতো ৬০টির বেশি বিষয় বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করা হয়। সূচকে যে দেশের স্কোর যত কম থাকে সামরিক সক্ষমতার তালিকায় সেই দেশ তত এগিয়ে থাকে।

এবারের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৪১৯। সবচেয়ে কম শূন্য দশমিক ০৬৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ দশের তালিকায় এর পরে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক,পাকিস্তান ও ইতালি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। বাংলাদেশের পরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটান।

১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় ভারত চতুর্থ, পাকিস্তান নবম, মিয়ানমার ৩৫তম, শ্রীলঙ্কা ৭৫তম ও নেপাল ১২৮তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকার ১৪৫তম অবস্থানে রয়েছে ভুটান। শক্তিমত্তার সূচকে দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ৩৭০৪।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনা রয়েছেন আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংকের সংখ্যা ৩২০টি। সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি।

দেশ নৌবাহিনীর সক্রিয় সদস্য রয়েছেন ২৫ হাজার ১০০ জন। বাহিনীটির জাহাজগুলোর মধ্যে ফ্রিগেট সাতটি, করভেট ছয়টি, সাবমেরিন দুটি, টহল নৌযান ৩০টি এবং মাইন ওয়ারফেয়ার রয়েছে পাঁচটি। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪০০ জন। বাহিনীটির মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১৬টি। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৪টি, হেলিকপ্টার ৭৩টি, পরিবহন বিমান ১৬টি ও প্রশিক্ষণ বিমান ৮৫টি। বিশেষ অভিযানের জন্য রয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ভূমিকা রাখবে ছাত্রদল’

বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে ৩ ধাপ এগিয়েছে

আপডেট সময় ০৭:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ চলতি বছর সামরিক শক্তির বিচারে বিশ্বে ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালে তা ছিল ৪০তম। সেই হিসাবে চলতি বছর বাংলাদেশের অবস্থান আগের বছরের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডটকমের সর্বশেষ সূচকে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডটকম। ২০২৪ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে ৬ জানুয়ারি।

কোনো দেশের সশস্ত্র বাহিনীর আকার, অর্থনৈতিক অবস্থা, লজিস্টিক সক্ষমতা ও ভৌগোলিক অবস্থানের মতো ৬০টির বেশি বিষয় বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করা হয়। সূচকে যে দেশের স্কোর যত কম থাকে সামরিক সক্ষমতার তালিকায় সেই দেশ তত এগিয়ে থাকে।

এবারের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৪১৯। সবচেয়ে কম শূন্য দশমিক ০৬৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ দশের তালিকায় এর পরে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক,পাকিস্তান ও ইতালি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। বাংলাদেশের পরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটান।

১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় ভারত চতুর্থ, পাকিস্তান নবম, মিয়ানমার ৩৫তম, শ্রীলঙ্কা ৭৫তম ও নেপাল ১২৮তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকার ১৪৫তম অবস্থানে রয়েছে ভুটান। শক্তিমত্তার সূচকে দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ৩৭০৪।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনা রয়েছেন আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংকের সংখ্যা ৩২০টি। সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি।

দেশ নৌবাহিনীর সক্রিয় সদস্য রয়েছেন ২৫ হাজার ১০০ জন। বাহিনীটির জাহাজগুলোর মধ্যে ফ্রিগেট সাতটি, করভেট ছয়টি, সাবমেরিন দুটি, টহল নৌযান ৩০টি এবং মাইন ওয়ারফেয়ার রয়েছে পাঁচটি। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪০০ জন। বাহিনীটির মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১৬টি। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৪টি, হেলিকপ্টার ৭৩টি, পরিবহন বিমান ১৬টি ও প্রশিক্ষণ বিমান ৮৫টি। বিশেষ অভিযানের জন্য রয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান।