ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরাক থেকে সেনা সরানোর পরিকল্পনা নেই: যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন সৈন্য

ইরাক থেকে আপাতত সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। গত সপ্তাহে বাগদাদ ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট থেকে তারা বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরপর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা না থাকার কথা জানানো হলো।

সোমবার (৮ জানুয়ারী) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের পক্ষে এ কথা জানানো হয়েছে।

মার্কিন বিমানবাহিনীর মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখনই সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আইসিসকে (জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট) পরাজিত করার লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়ভাবে মনোযোগ ধরে রাখব।’ ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে মার্কিন সেনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এরপর শুক্রবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয়ে মার্কিন ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন বাহিনীকে সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিবৃতিতে সুদানির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক জোটের অস্তিত্বের যৌক্তিকতা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা অবস্থান জোরদার করার চেষ্টা করছি।’

ইরাকে থাকা আড়াই হাজার সেনার পাশাপাশি সিরিয়ায়ও যুক্তরাষ্ট্রের ৯০০ সেনা রয়েছে। তারা ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়াসহ নানাভাবে সহায়তা করে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় অন্তত ১০০ বার হামলার শিকার হয়েছে। এসব হামলা হয়েছে সাধারণত রকেট ও ড্রোনের মাধ্যমে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইরাক থেকে সেনা সরানোর পরিকল্পনা নেই: যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০৫:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

ইরাক থেকে আপাতত সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। গত সপ্তাহে বাগদাদ ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট থেকে তারা বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরপর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা না থাকার কথা জানানো হলো।

সোমবার (৮ জানুয়ারী) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের পক্ষে এ কথা জানানো হয়েছে।

মার্কিন বিমানবাহিনীর মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখনই সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আইসিসকে (জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট) পরাজিত করার লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়ভাবে মনোযোগ ধরে রাখব।’ ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে মার্কিন সেনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এরপর শুক্রবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয়ে মার্কিন ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন বাহিনীকে সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিবৃতিতে সুদানির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক জোটের অস্তিত্বের যৌক্তিকতা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা অবস্থান জোরদার করার চেষ্টা করছি।’

ইরাকে থাকা আড়াই হাজার সেনার পাশাপাশি সিরিয়ায়ও যুক্তরাষ্ট্রের ৯০০ সেনা রয়েছে। তারা ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়াসহ নানাভাবে সহায়তা করে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় অন্তত ১০০ বার হামলার শিকার হয়েছে। এসব হামলা হয়েছে সাধারণত রকেট ও ড্রোনের মাধ্যমে।