ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হেরেছেন হাসানুল হক ইনু

কুষ্টিয়া-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। জাসদ সভাপতি ইনু ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত জাসদ থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ২০০৮ সালে এসে মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে জয়ী হন বড় ব্যবধানে।

গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নানা কারণে দ্বন্দ্ব প্রকট হয় ইনুসহ জাসদের। এর ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরোধিতার মুখে পড়েন তিনি। ইনুকে চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করা কামারুল আরেফিন।

কামারুল আরেফিনের শুরু আশির দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে। এরপর তিনি যুবলীগের রাজনীতি শুরু করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। পরে হামলা-মামলায় টিকতে না পেরে এলাকা ছেড়ে চলে যান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। ২০১১ সালে মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হন বিপুল ভোটে। পরে তিনি মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০১৪ সালের পর ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। এরপর ২০১৮ সালে এসেও একই পদে জয়ী হন তিনি।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মিরপুর ও ভেড়ামারায় কামারুল আরেফিনের জনপ্রিয়তা আছে কর্মীদের মাঝে। দেশ সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইনুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।

জয়ী হয়ে কামারুল আরেফিন বলেন, ‘আমি জনতার নেতা। সব ছেড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। জনগণ ভোট দিয়ে আমার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিয়েছে। আমি শুকরিয়া জানাই আল্লাহর দরবারে। মিরপুর-ভেড়ামারাবাসীর এ দেনা আমি কখনো শোধ করতে পারব না। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাব।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হেরেছেন হাসানুল হক ইনু

আপডেট সময় ১২:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

কুষ্টিয়া-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। জাসদ সভাপতি ইনু ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত জাসদ থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ২০০৮ সালে এসে মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে জয়ী হন বড় ব্যবধানে।

গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নানা কারণে দ্বন্দ্ব প্রকট হয় ইনুসহ জাসদের। এর ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরোধিতার মুখে পড়েন তিনি। ইনুকে চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করা কামারুল আরেফিন।

কামারুল আরেফিনের শুরু আশির দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে। এরপর তিনি যুবলীগের রাজনীতি শুরু করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। পরে হামলা-মামলায় টিকতে না পেরে এলাকা ছেড়ে চলে যান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। ২০১১ সালে মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হন বিপুল ভোটে। পরে তিনি মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০১৪ সালের পর ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। এরপর ২০১৮ সালে এসেও একই পদে জয়ী হন তিনি।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মিরপুর ও ভেড়ামারায় কামারুল আরেফিনের জনপ্রিয়তা আছে কর্মীদের মাঝে। দেশ সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইনুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।

জয়ী হয়ে কামারুল আরেফিন বলেন, ‘আমি জনতার নেতা। সব ছেড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। জনগণ ভোট দিয়ে আমার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিয়েছে। আমি শুকরিয়া জানাই আল্লাহর দরবারে। মিরপুর-ভেড়ামারাবাসীর এ দেনা আমি কখনো শোধ করতে পারব না। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাব।’