ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ৩০ জুলাই ফেসবুকে‘প্রোফাইল লাল’করে প্রতিবাদ Logo তিস্তার পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে: বন্যা আতঙ্কে স্থানীয়রা Logo দেশ থেকে পালিয়েছে হাসিনা—কারাগারে মিষ্টি বিক্রেতার মুখে খবর, বাঁধে উল্লাস – উদযাপন Logo বিচার বিভাগের পদ সৃজনের ক্ষমতা এখন সুপ্রিম কোর্টের Logo নাটোরে জুলাই অভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট গণ মিছিল করবে জামায়াত Logo এবার মসজিদের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সমন্বয়ক আমানের বিরুদ্ধে Logo ৮.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরই রাশিয়ায় আঘাতহানে সুনামি, ২ দেশে সতর্কতা Logo নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কহার নিয়ে তৃতীয় দফায় বৈঠক Logo সিরাজগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ৪ বছরের শিশু নিহত

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট জব্দ, গ্রেপ্তার ৫

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 578

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট জব্দ, গ্রেপ্তার ৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেল থেকে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় কলকাতা থেকে আসা ৫ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (উত্তর অঞ্চল)।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটোয়ারী সংবাদ সম্মেলনে জানান, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর উপপরিচালক রাশেদুজ্জামানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত দল বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেল অবস্থান নেয়। আসামিরা গ্রীন চ্যানেল পার হলে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা ফ্লাইট নং-২০৪ এ আগত ৫ জন যাত্রীর কাছে থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-সোলাইমান, হৃদয় ইসলাম রাজু, এ, কে, এম আবু সাইদ, আশীক সাইফ ও ফারুক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, ভারত থেকে ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টাডলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুসদ্ধান করতে থাকে অধিদপ্তর। িএ সময় সোলাইমানের বিষয়ে অবগত হওয়া যায়। সে মাসে ৪-৫ বার ভারতের কলকাতা গমন করতো এবং প্রতিবার সে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসত। এ কাজে সে তার একাধিক সহযোগীকে ব্যবহার করতো। গত আগষ্ট মাসে এ চক্রের একজন সদস্যকে ফেনসিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যবসার কৌশল হিসেবে তারা কলকাতা গমনের ক্ষেত্রে যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে এবং দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রুট হিসেবে ব্যবহার করতো।

চক্রটিকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়

প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সোলাইমানের নেতৃত্বে ট্যাপেন্টাডলের একটি বড় চালান শাহজালাল বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা ফ্লাইট নং-২০৪ যোগে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবব্দরে গ্রীণ চ্যানেলে অবস্থান নেয়। অপর একটিদল এ্যারাইভাল ইন্ট্রিগেট দিয়ে প্রবেশের সময় সোলাইমান ও সহযোগীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। আসামিরা ইমিগ্রেশন শেষ করে ল্যাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করে গ্রীন চ্যাানেলে পার হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সোলাইমান ও তার সহযোগীরা স্বীকার করে যে তারা কলকাতা থেকে বিপুল পরিমাণ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিয়ে এসেছে। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে সোলাইমানের ট্রালি ব্যাগের ভেতর কাপড় দ্বারা লুকানো অবস্থায় ৩ হাজার পাতা। প্রতি পাত মিলে মোট ৩০ হাজার) পিস ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। আর রাজু ডান হাতে ঝুলানো স্কুল ব্যাগের ভেতর ৪০০ পাতা প্রতি পাতায় ১০ পিস করে মোট ৪ হাজার) পিস টেপেনডাডল ট্যাবলেট এবং পাসপোর্টসহ অন্যদের কাছ থেকে বাকি ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

৩০ জুলাই ফেসবুকে‘প্রোফাইল লাল’করে প্রতিবাদ

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট জব্দ, গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় ০৭:৫১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেল থেকে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় কলকাতা থেকে আসা ৫ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (উত্তর অঞ্চল)।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটোয়ারী সংবাদ সম্মেলনে জানান, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর উপপরিচালক রাশেদুজ্জামানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত দল বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেল অবস্থান নেয়। আসামিরা গ্রীন চ্যানেল পার হলে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা ফ্লাইট নং-২০৪ এ আগত ৫ জন যাত্রীর কাছে থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-সোলাইমান, হৃদয় ইসলাম রাজু, এ, কে, এম আবু সাইদ, আশীক সাইফ ও ফারুক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, ভারত থেকে ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টাডলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুসদ্ধান করতে থাকে অধিদপ্তর। িএ সময় সোলাইমানের বিষয়ে অবগত হওয়া যায়। সে মাসে ৪-৫ বার ভারতের কলকাতা গমন করতো এবং প্রতিবার সে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসত। এ কাজে সে তার একাধিক সহযোগীকে ব্যবহার করতো। গত আগষ্ট মাসে এ চক্রের একজন সদস্যকে ফেনসিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যবসার কৌশল হিসেবে তারা কলকাতা গমনের ক্ষেত্রে যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে এবং দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রুট হিসেবে ব্যবহার করতো।

চক্রটিকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়

প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সোলাইমানের নেতৃত্বে ট্যাপেন্টাডলের একটি বড় চালান শাহজালাল বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা ফ্লাইট নং-২০৪ যোগে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবব্দরে গ্রীণ চ্যানেলে অবস্থান নেয়। অপর একটিদল এ্যারাইভাল ইন্ট্রিগেট দিয়ে প্রবেশের সময় সোলাইমান ও সহযোগীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। আসামিরা ইমিগ্রেশন শেষ করে ল্যাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করে গ্রীন চ্যাানেলে পার হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সোলাইমান ও তার সহযোগীরা স্বীকার করে যে তারা কলকাতা থেকে বিপুল পরিমাণ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিয়ে এসেছে। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে সোলাইমানের ট্রালি ব্যাগের ভেতর কাপড় দ্বারা লুকানো অবস্থায় ৩ হাজার পাতা। প্রতি পাত মিলে মোট ৩০ হাজার) পিস ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। আর রাজু ডান হাতে ঝুলানো স্কুল ব্যাগের ভেতর ৪০০ পাতা প্রতি পাতায় ১০ পিস করে মোট ৪ হাজার) পিস টেপেনডাডল ট্যাবলেট এবং পাসপোর্টসহ অন্যদের কাছ থেকে বাকি ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।