ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহ-৭: কালো টাকা ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা, ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • 193

ময়মনসিংহ-৭: কালো টাকা ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মালেক ফরাজী আজ শনিবার দুপুরে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

নির্বাচন বর্জনের কারণ হিসেবে আব্দুল মালেক ফরাজী বলেন, ‘ত্রিশাল আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান নির্বাচনে বেধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বহুগুণ বেশি টাকা খরচ করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনী খরচ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও এ প্রার্থীরা পোস্টার বাবদই খরচ করে নূন্যতম ১২ লক্ষ করে টাকা।

প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য প্রতিদিনের নির্বাচনী খরচ হিসেবে তাঁরা দিচ্ছেন ৩০ হাজার করে নগদ টাকা এবং প্রতিদিন ৫০০ করে বিরিয়ানির প্যাকেট।’
সব মিলিয়ে এ দুই প্রার্থী নির্বাচনে ২৫০ কোটি থেকে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমন কালো টাকা ছড়ানোর কারণে ভোটাররা চাইলেও আমাকে ভোট দিতে পারবেন না। কাজেই আমি এ নির্বাচন প্রত্যাহার করলাম। যদিও এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জনের সুযোগ নেই, তবুও আমি ঘোষণা দিয়ে এ নির্বাচন বর্জন করলাম।

পাশাপাশি আমার ভোটারদের কাছে ক্ষমা চাইলাম। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মালেক ফরাজিকে প্রশ্ন করা হয়, ‘কালো’ টাকা ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ করেছেন কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি অভিযোগ করে কোনো লাভ হতো না, যে কারণে কোনো অভিযোগ করিনি।’

ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হচ্ছে নৌকার মনোনীত প্রার্থী রুহুল আমীন মাদানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান। এ ছাড়াও মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল মজিদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহ-৭: কালো টাকা ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা, ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন

আপডেট সময় ০৮:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মালেক ফরাজী আজ শনিবার দুপুরে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

নির্বাচন বর্জনের কারণ হিসেবে আব্দুল মালেক ফরাজী বলেন, ‘ত্রিশাল আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান নির্বাচনে বেধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বহুগুণ বেশি টাকা খরচ করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনী খরচ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও এ প্রার্থীরা পোস্টার বাবদই খরচ করে নূন্যতম ১২ লক্ষ করে টাকা।

প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য প্রতিদিনের নির্বাচনী খরচ হিসেবে তাঁরা দিচ্ছেন ৩০ হাজার করে নগদ টাকা এবং প্রতিদিন ৫০০ করে বিরিয়ানির প্যাকেট।’
সব মিলিয়ে এ দুই প্রার্থী নির্বাচনে ২৫০ কোটি থেকে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমন কালো টাকা ছড়ানোর কারণে ভোটাররা চাইলেও আমাকে ভোট দিতে পারবেন না। কাজেই আমি এ নির্বাচন প্রত্যাহার করলাম। যদিও এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জনের সুযোগ নেই, তবুও আমি ঘোষণা দিয়ে এ নির্বাচন বর্জন করলাম।

পাশাপাশি আমার ভোটারদের কাছে ক্ষমা চাইলাম। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মালেক ফরাজিকে প্রশ্ন করা হয়, ‘কালো’ টাকা ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ করেছেন কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি অভিযোগ করে কোনো লাভ হতো না, যে কারণে কোনো অভিযোগ করিনি।’

ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হচ্ছে নৌকার মনোনীত প্রার্থী রুহুল আমীন মাদানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান। এ ছাড়াও মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল মজিদ।