ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষে আহত ২৪

নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষে আহত ২৪

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রচারণায় ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস, সংযোগ কেটে দেয়া হয় প্রচার মাইকেরও।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উভয়পক্ষের আহতরা হলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জাফর উল্যা, কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর আবির, কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু, বৃহত্তর সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়েজ উল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক সাদ্দাম, কাউন্সিলর জাসেদ, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ২৪ জন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাবেক মেয়র টিটু ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবিরের নেতৃত্বে তিনটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভূঁইয়ারহাট বাজারে যায়। পরে তারা নোয়াখালী-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করে। লিফলেট বিতরণ শেষে ভূঁইয়ারহাট যাত্রী ছাউনির সামনে পথসভা করে নৌকার পক্ষে ভোট আহ্বান করে। এ সময় বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে নৌকার প্রচারণায় এলে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতর্ক, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর বিভিন্ন সময় আমরা কাদের ভাইয়ের পক্ষে প্রচারণায় গেলে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর ও বাধা দেয়। ওবায়দুল কাদেরের কবিরহাটের পথসভার দিনও শাহীনের নেতৃত্ব আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।’

বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে কোন প্রকার সমন্বয় না করে তারা নির্বাচনী প্রচারণায় এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। আমরা ওবায়দুল কাদেরের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করতে করতে তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের লোকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং কয়েকজনকে মারধর করে। এতে আমিসহ আমার ৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। তবে এখনও কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষে আহত ২৪

আপডেট সময় ০৪:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রচারণায় ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস, সংযোগ কেটে দেয়া হয় প্রচার মাইকেরও।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উভয়পক্ষের আহতরা হলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জাফর উল্যা, কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর আবির, কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু, বৃহত্তর সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়েজ উল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক সাদ্দাম, কাউন্সিলর জাসেদ, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ২৪ জন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাবেক মেয়র টিটু ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবিরের নেতৃত্বে তিনটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভূঁইয়ারহাট বাজারে যায়। পরে তারা নোয়াখালী-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করে। লিফলেট বিতরণ শেষে ভূঁইয়ারহাট যাত্রী ছাউনির সামনে পথসভা করে নৌকার পক্ষে ভোট আহ্বান করে। এ সময় বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে নৌকার প্রচারণায় এলে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতর্ক, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর বিভিন্ন সময় আমরা কাদের ভাইয়ের পক্ষে প্রচারণায় গেলে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর ও বাধা দেয়। ওবায়দুল কাদেরের কবিরহাটের পথসভার দিনও শাহীনের নেতৃত্ব আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।’

বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে কোন প্রকার সমন্বয় না করে তারা নির্বাচনী প্রচারণায় এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। আমরা ওবায়দুল কাদেরের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করতে করতে তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের লোকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং কয়েকজনকে মারধর করে। এতে আমিসহ আমার ৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। তবে এখনও কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।