ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জোড়া বিস্ফোরণ, নিহত ৭৩

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • 231

মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জোড়া বিস্ফোরণ, নিহত ৭৩

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কেরমান শহরে কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের পাশের এই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৩ জন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন।

২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলাইমানি নিহত হন। বুধবার ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, কাশেম সোলাইমানির কবর জিয়ারতের সময় জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে আরও ১৭১ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কেরমানের সাহেব আল-জামান মসজিদের কাছে সোলাইমানির সমাধি থেকে কয়েকশ মিটার দূরে বিস্ফোরণ ঘটে।

জেনারেল সোলেইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বুধবার শত শত মানুষ সমাধির দিকে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন প্রথম বিস্ফোরণের কয়েক মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে খবর দিয়েছে।

কেরমান প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসী হামলার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’’ ইরানের জরুরি পরিষেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত বলেছেন, বিস্ফোরণে ৭৩ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হয়েছেন। দেশটির আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম নুরনিউজ বলছে, কবরস্থানের দিকে যাওয়ার রাস্তায় বেশ কয়েকটি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর সোলাইমানিকে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে দেখা হতো। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানি নিহত হন। জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। দেশের বাইরে বিশেষ করে ইরাক, লেবানন এবং সিরিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের অভিযান তার নেতৃত্বে পরিচালিত হতো।

সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যার ঘটনায় ওই অঞ্চলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করে। যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে ইরানের শীর্ষ এই জেনারেলকে ‘‘বিশ্বের এক নাম্বার সন্ত্রাসী’’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জোড়া বিস্ফোরণ, নিহত ৭৩

আপডেট সময় ০৯:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কেরমান শহরে কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের পাশের এই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৩ জন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন।

২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলাইমানি নিহত হন। বুধবার ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, কাশেম সোলাইমানির কবর জিয়ারতের সময় জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে আরও ১৭১ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কেরমানের সাহেব আল-জামান মসজিদের কাছে সোলাইমানির সমাধি থেকে কয়েকশ মিটার দূরে বিস্ফোরণ ঘটে।

জেনারেল সোলেইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বুধবার শত শত মানুষ সমাধির দিকে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন প্রথম বিস্ফোরণের কয়েক মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে খবর দিয়েছে।

কেরমান প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসী হামলার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’’ ইরানের জরুরি পরিষেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত বলেছেন, বিস্ফোরণে ৭৩ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হয়েছেন। দেশটির আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম নুরনিউজ বলছে, কবরস্থানের দিকে যাওয়ার রাস্তায় বেশ কয়েকটি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর সোলাইমানিকে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে দেখা হতো। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানি নিহত হন। জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। দেশের বাইরে বিশেষ করে ইরাক, লেবানন এবং সিরিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের অভিযান তার নেতৃত্বে পরিচালিত হতো।

সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যার ঘটনায় ওই অঞ্চলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করে। যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে ইরানের শীর্ষ এই জেনারেলকে ‘‘বিশ্বের এক নাম্বার সন্ত্রাসী’’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।