নির্বাচন বর্জন করে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা এবং রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এ সময় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বক্তব্যের পর একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, এই সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশের সকল বিরোধী দল ও জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ আধুনিক বাকশাল কায়েম করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলে ভারতের স্বার্থ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ৭ তারিখের নির্বাচন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে ৩ হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যা, ৭০০ অধিক গুম, ৫০ লাখের বেশি মানুষকে মামলা করে পুরো বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদ জীবন দিয়ে হলেও দেশ ও জনগণের জন্য দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবো।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। এই সরকার বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসের একমাত্র নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মিথ্যা মামলায় আদালতে বিচারিক হয়রানি করে সাজা দিয়েছে, আমরা তার প্রতি সংহতি জানাই।
বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাব্বির হোসাইন, নাহিদ উদ্দিন তারেক, নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, জোবায়রুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মো. আবু রায়হান সোহান, বিজ্ঞান সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আসাদ বিন রনি, উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম সবুজ, তিতুমীর কলেজ সভাপতি আফতাব মাহমুদ, ঢাকা কলেজ সভাপতি কামাল হোসেন সুমন সাধারণ সম্পাদক নজরুল করিম সোহাগসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।