সিডনি টেস্টে আজ প্রথম দিনে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ০ রানে ফিরেছেন দুই ওপেনার। মিচেল স্টার্কের বলে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট আবদুল্লাহ শফিক।
পরের ওভারে অভিষিক্ত সায়েম আইয়ুবও আউট। জশ হ্যাজলউডের বলে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দিয়ে টেস্টে অভিষেক ইনিংসটা ভুলেই থাকতে চাইবেন এই বাঁহাতি। কারণ, আউট হওয়ার আগে যে স্কোরবোর্ডে নিজের নামের পাশে রান যোগ করতে পারেননি। সায়েম অবশ্য আবদুল্লাহকে দেখে কষ্ট ভুলতে পারেন। এরই মধ্যে ১৬ টেস্টে খেলে পাকিস্তানের ওপেনিংয়ে পায়ের তলার মাটি শক্ত করা আবদুল্লাহর নামের পাশেও তো ০!
অর্থাৎ সিডনি টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি ঘটনাও দেখা গেল। টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নতুন বছরের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার শূন্য রানে আউট হলেন। এর আগে কখনোই এমন কিছু দেখা যায়নি।
তবে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন। সেই যে ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারত, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৪ জানুয়ারি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সফরকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারের মধ্যে আউট হয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল। দুজনেই শূন্য রানে আউট হন।
২০১০ সালে সেটি প্রথম টেস্ট ছিল না। তার আগে আরও পাঁচটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটি এড়াতে পেরেছিলেন তামিম-ইমরুল। কিন্তু সায়েম-আবদুল্লাহ জুটি সেটি পারলেন না। না চাইলেও তাঁদের নামের পাশে এখন এই রেকর্ড লেখা থাকবে। আর তামিম-ইমরুল থাকবেন আজকের এই রেকর্ডের সবচেয়ে কাছাকাছি। কারণ, নতুন বছরের প্রথম টেস্টে আজকের এই রেকর্ডের আগে ২০১০ সালের সেই মিরপুর টেস্টই ছিল রেকর্ডটি হওয়ার সবচেয়ে কাছাকাছি ম্যাচ।