ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানের আসন পর্যন্ত যেতে পারলেও আকাশ থেকে পাখির চোখে পৃথিবী দেখার সুযোগ হয়নি জুনায়েদ মোল্লার। এবার এই শিশুর স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা থেকে বিমানে করে পর্যটন শহর কক্সবাজার এসে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে এই শিশুর। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় জুনায়েদ। এরপর কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয় তাকে।
জুনায়েদ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী ইমরান মোল্লার ছেলে। জুনায়েদ বলে, নিরাপত্তা পেরিয়ে বিমানে উঠেছিলাম। কিন্তু আকাশে উড়তে পারিনি। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে আসলেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।
জুনায়েদের চাচা ইউসুফ মোল্লা বলেন, আমার ভাতিজার কারণে আমিও প্রথম বিমানে চড়তে পারলাম। ওয়ালটন আমাদের ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে আসলো। আমার ভাতিজা জুনায়েদের স্বপ্ন পূরণ হলো। এ ছাড়া যে নিরাপত্তাকর্মীদের চাকরি চলে গেছে, তাদের চাকরি যেন তারা ফিরে পায় সরকারের কাছে এই আবেদন জানাই।
গত ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওঠে জুনায়েদ। রাত সোয়া ৩টার দিকে ওই ফ্লাইট উড্ডয়নের কথা ছিল। এর আগে প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই ফ্লাইটের সিটে বসে ছিল জুনায়েদ। পরে এক যাত্রী তাকে অন্য সিটে বসতে বললে ধরা পড়ে জুনায়েদ পাসপোর্ট, টিকিট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই বিমানে উঠেছে। পরে বিমানবন্দর থানা পুলিশ শিশুটিকে আটক করে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ জুনায়েদকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।