ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ায় বজ্রঝড়ে নিহত অন্তত ৯, বিদ্যুৎবিহীন ৮৬ হাজার পরিবার

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:১২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 170

অস্ট্রেলিয়ায় বজ্রঝড়ে নিহত অন্তত ৯, বিদ্যুৎবিহীন ৮৬ হাজার পরিবার

বড়দিনের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে প্রবল ঝড়ে অন্তত নয় জন নিহত হয়েছে। ঝড়ের আঘাতে গাছ ও বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়েছে এবং কয়েক হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। ভিক্টোরিয়া এবং কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের পুলিশ এবং উদ্ধারকারী পরিষেবাগুলো আট জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২৫ ডিসেম্বর এবং ২৬ ডিসেম্বর দেশের পূর্ব উপকূলে প্রচণ্ড বজ্রঝড় আঘাত হানে। শুরু হয় শিলাবৃষ্টি, প্রবল বাতাস এবং মুষলধারে বৃষ্টি। এতে নদীর পানি উপচে বন্যা শুরু হয়। গাছ-পালা, ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনের উপকণ্ঠে ঝড় ও বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায় নয় বছর বয়সী মেয়েশিশু।

এ ছাড়া জিমপিতে গ্রামীণ শহরের মধ্য দিয়ে বন্যার পানি উঠলে আরো তিনজন নারীও ভেসে যায়। তাদের মধ্যে একজন বেঁচে গেলেও বাকি দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। জিমপির মেয়র গ্লেন হার্টউইগ এবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘ক্রিসমাসের সময়ে এই অঞ্চলের পরিবারের জন্য এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। এদিকে কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণে সাগরে নৌকা ডুবে এগারো জন নিখোঁজ হন।

পুলিশ বুধবার জানান, এই ঘটনায় তিনজন ডুবে যায় এবং বাকি আটজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবহাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টা খুবই খারাপ ছিল।’ আবহাওয়া ব্যুরো সতর্ক করেছে, কুইন্সল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে এখনও বিপজ্জনক ঝড়ের পাশাপাশি বন্যা,শিলাবৃষ্টি এবং তীব্র বাতাস বয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি এনারজেক্স জানিয়েছে, ঝড়ে ১ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে পড়েছে এবং প্রায় ৮৬ হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থা ঠিক হতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলে ধারণা করছে কম্পানিটি। এদিকে, মেলবোর্নের পূর্বে বুচানে আকস্মিক বন্যার পর গতকাল মঙ্গলবার একজন নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গাছ উপরে পড়ে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালের দিকে ঝড় কমে আসলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, পূর্বদিকে যখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে তখন পশ্চিমের বেশ কয়েকটি অঞ্চল দাবানলে পুড়ছে। এখানে দাবানল নেভাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক এক দমকলকর্মী মারা গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

অস্ট্রেলিয়ায় বজ্রঝড়ে নিহত অন্তত ৯, বিদ্যুৎবিহীন ৮৬ হাজার পরিবার

আপডেট সময় ০৯:১২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বড়দিনের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে প্রবল ঝড়ে অন্তত নয় জন নিহত হয়েছে। ঝড়ের আঘাতে গাছ ও বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়েছে এবং কয়েক হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। ভিক্টোরিয়া এবং কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের পুলিশ এবং উদ্ধারকারী পরিষেবাগুলো আট জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২৫ ডিসেম্বর এবং ২৬ ডিসেম্বর দেশের পূর্ব উপকূলে প্রচণ্ড বজ্রঝড় আঘাত হানে। শুরু হয় শিলাবৃষ্টি, প্রবল বাতাস এবং মুষলধারে বৃষ্টি। এতে নদীর পানি উপচে বন্যা শুরু হয়। গাছ-পালা, ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনের উপকণ্ঠে ঝড় ও বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায় নয় বছর বয়সী মেয়েশিশু।

এ ছাড়া জিমপিতে গ্রামীণ শহরের মধ্য দিয়ে বন্যার পানি উঠলে আরো তিনজন নারীও ভেসে যায়। তাদের মধ্যে একজন বেঁচে গেলেও বাকি দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। জিমপির মেয়র গ্লেন হার্টউইগ এবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘ক্রিসমাসের সময়ে এই অঞ্চলের পরিবারের জন্য এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। এদিকে কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণে সাগরে নৌকা ডুবে এগারো জন নিখোঁজ হন।

পুলিশ বুধবার জানান, এই ঘটনায় তিনজন ডুবে যায় এবং বাকি আটজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবহাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টা খুবই খারাপ ছিল।’ আবহাওয়া ব্যুরো সতর্ক করেছে, কুইন্সল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে এখনও বিপজ্জনক ঝড়ের পাশাপাশি বন্যা,শিলাবৃষ্টি এবং তীব্র বাতাস বয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি এনারজেক্স জানিয়েছে, ঝড়ে ১ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে পড়েছে এবং প্রায় ৮৬ হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থা ঠিক হতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলে ধারণা করছে কম্পানিটি। এদিকে, মেলবোর্নের পূর্বে বুচানে আকস্মিক বন্যার পর গতকাল মঙ্গলবার একজন নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গাছ উপরে পড়ে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালের দিকে ঝড় কমে আসলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, পূর্বদিকে যখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে তখন পশ্চিমের বেশ কয়েকটি অঞ্চল দাবানলে পুড়ছে। এখানে দাবানল নেভাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক এক দমকলকর্মী মারা গেছে।