ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে— উল্লেখ করে সমাবেশে যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমেদ সাকি বলেন, ‘মানুষের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে এ সরকার একটি পাতানো ও সাজানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আগামী ৭ তারিখ বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এরপরও যদি নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সৈনিকরা নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা-ই করবে।’

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের দাবিতে গণসংযোগ পূর্ব সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, ‘অবৈধ ও স্বৈরাচারী সরকার তাদের গোলাম নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ এ প্রহসনের নির্বাচন মানে না। এ নির্বাচন আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’

বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষণা দিয়েছেন, ৭ তারিখের নির্বাচনে দেশবাসী অংশগ্রহণ করবে না। আমরাও সেই নির্দেশনা মোতাবেক ভোট দিতে যাব না। গণমানুষের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। সাধারণ মানুষের কাছে গণসংযোগ করছি। আমরা এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে দেশবাসীকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মসাৎ করা অর্থের নিরাপত্তার জন্য এমন নির্বাচন করা হচ্ছে— উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আপনারা জানেন এ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিও স্পষ্ট। এমপি-মন্ত্রীদের আত্মসাৎ করা অর্থের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা বারবার পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করতে চায়। এবারও তারা প্রহসনের এবং ধোঁকাবাজির নির্বাচন করতে চায়। এটা নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ হাসাহাসি করে। যারা সরকার, তারাই বিরোধী দল। আজ শতকরা ৯০-৯৫ ভাগ মানুষ এ নির্বাচন চায় না। তারা এমন নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর দলটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন বন্ধের জন্য স্মারকলিপি দেওয়ারও ঘোষণা করেন তিনি। সমাবেশ শেষে পুরানা পল্টন থেকে মিছিল বের করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে— উল্লেখ করে সমাবেশে যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমেদ সাকি বলেন, ‘মানুষের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে এ সরকার একটি পাতানো ও সাজানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আগামী ৭ তারিখ বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এরপরও যদি নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সৈনিকরা নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা-ই করবে।’

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের দাবিতে গণসংযোগ পূর্ব সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, ‘অবৈধ ও স্বৈরাচারী সরকার তাদের গোলাম নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ এ প্রহসনের নির্বাচন মানে না। এ নির্বাচন আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’

বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষণা দিয়েছেন, ৭ তারিখের নির্বাচনে দেশবাসী অংশগ্রহণ করবে না। আমরাও সেই নির্দেশনা মোতাবেক ভোট দিতে যাব না। গণমানুষের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। সাধারণ মানুষের কাছে গণসংযোগ করছি। আমরা এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে দেশবাসীকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মসাৎ করা অর্থের নিরাপত্তার জন্য এমন নির্বাচন করা হচ্ছে— উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আপনারা জানেন এ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিও স্পষ্ট। এমপি-মন্ত্রীদের আত্মসাৎ করা অর্থের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা বারবার পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করতে চায়। এবারও তারা প্রহসনের এবং ধোঁকাবাজির নির্বাচন করতে চায়। এটা নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ হাসাহাসি করে। যারা সরকার, তারাই বিরোধী দল। আজ শতকরা ৯০-৯৫ ভাগ মানুষ এ নির্বাচন চায় না। তারা এমন নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর দলটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন বন্ধের জন্য স্মারকলিপি দেওয়ারও ঘোষণা করেন তিনি। সমাবেশ শেষে পুরানা পল্টন থেকে মিছিল বের করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।