রাজধানীতে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও হামলার অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলির পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিতে এমন ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভোট বর্জনের জন্য গণসংযোগ পূর্ব সমাবেশে নেতারা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে মঞ্চের নেতারা মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় ও হামলা করে। এতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। এর আগে সমাবেশ স্থলে আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মিছিলেও কয়েক দফায় বাধা ও ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বান নিয়ে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠান হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম।
নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে উৎসব করে ভোট দিতে যায় মানুষ। চাপ দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তাভোগীদের কার্ড জমা রেখে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চাচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ।
গণতন্ত্র মঞ্চের বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মালিবাগ হোসাফ টাওয়ারের সামনে সমাবেশ ও মগবাজার অভিমুখে গণসংযোগ-মিছিল কর্মসূচি রয়েছে।