আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সেটি হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ জন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সকালে পাঠানো হবে। এক জায়গার ভোট আরেক জায়গায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পিটিআই মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, শেষদিন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠভাবে ধরে রাখতে হবে। ভোটকেন্দ্রে যেন অবৈধ কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো অবৈধ মানুষ ভোটকেন্দ্রে ঢুকে পড়লে বুঝতে হবে সে কু-মতলব নিয়ে এসেছে। তাহলে এই ভোট কেন্দ্রের পোলিংটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আজ দুই-চারজন লোক বলেছেন ভোট দিয়ে কী লাভ। ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। তবে কেউ কেউ নাকি মুখে মুখে বলছেন, আপনারা যে যেখানেই ভোট দেন, ভোট জায়গা মতো চলে আসবে। আমরা এই ধরনের বক্তব্য শুনেছি।
এটা ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার ও ভ্রান্ত ধারণা প্রসূত। ভোট যেখানেই দেন, সেখান থেকে আরেক জায়গায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেটা আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি। আগের রাতে ভোট নিয়ে যেসমস্ত কথা হয়েছে। আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সেটি কোনো অবস্থায় হবে না।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাাচনে অনেক কেন্দ্র ব্যালট পেপার সকালে যাবে। এমনকি ব্যালট পেপার সকালে না গিয়ে দশ দিন বা দশ মাস আগেও যায় তাহলেও কিছু হবে না। ভোট শুরুর আগে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সগুলো খালি কিনা তা প্রার্থীর এজেন্টরা দেখে নেবেন। পোলিং এজেন্টরা সর্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে ভোট প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে অবৈধ ব্যালট পেপার প্রবেশের কোনো আশঙ্কা নেই। অধিকতর আস্থা অর্জনের জন্য আমরা সকালে ব্যালট পেপার পাঠাব। পোলিং এজেন্টরা দেখে নেবেন ব্যালট বক্সগুলো খালি কিনা। এ ছাড়া তারা ভোট গণনা পর্যন্ত উপস্থিত থেকে দেখবেন ভোট গণনা দেখবেন ‘
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন সংস্কৃতিতে অনেকেই কালো টাকার বিনিময় কিছু গুণ্ডাকে ঠিক করেন তাদের বলা হয় পেশীশক্তি। এই পেশীশক্তি যেন ভোটকে প্রভাবিত করতে না পারে সেই বিষয়টা কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। যদি এটি হয় তাহলে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।’
সিইসি বলেন, ভোটের স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়ার কর্মীরা ভেতরে গিয়েও ছবি তুলতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে না। পর্যবেক্ষকরাও ভেতরে প্রবেশ করে তথ্য নিয়ে জনগণকে জানিয়ে দিতে পারবেন।
ভোটের অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়েছে তার তথ্য দেওয়া থাকবে। এটা অ্যাপস ডাউনলোড করে সবাই জানতে পারবে। চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার কার্যালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম।