ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে শহীদের স্মরণের আয়োজনে বাধা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo বাজার মনিটরিংয়ে মাঠে নামছে টাস্কফোর্স: উপদেষ্টা আসিফ Logo পার্বত্য ৩ জেলায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা Logo শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের ৭ দিনের রিমান্ড Logo ৭ দিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে রাজপথে নামবো: মাহমুদুর রহমান Logo চলতি মাসের ৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৪২ কোটি ডলার Logo ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণাসহ ৭ দফা দাবি মাহমুদুর রহমানের Logo বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে: নাহিদ Logo এক সপ্তাহে ভারত গেলো ৪১১ টন ইলিশ Logo সীমান্তে হিন্দু-মুসলমান নয়, বাংলাদেশি হিসেবেই গুলি করে হত্যা করা হয়: রিজভী

শ্রম আইন লঙ্ঘন : ড. ইউনূসের মামলার রায় ১ জানুয়ারি

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 206

শ্রম আইন লঙ্ঘন : ড. ইউনূসের মামলার রায় ১ জানুয়ারি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এই মামলায় আগামী ১ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করবেন আদালত। রোববার রাতে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট মো. হায়দার আলী।

শুনানিতে আসামিদের খালাসের আর্জি জানিয়েছেন ইউনূসের আইনজীবী। অন্যদিকে ড. ইউনূসসহ বাকি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আর্জি জানিয়েছেন কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে আসামিদের বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও হায়দার আলী।

এর আগে বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার আইনজীবীসহ আদালতে হাজির হন। ১১টা ৩৩ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। দুই দফায় বিরতি দিয়ে মাগরিবের পরও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলে।

গত ২১ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

সেদিন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, এ মামলার সাক্ষীদের বর্ণনায় ড. ইউনূসসহ অন্যরা সংশ্লিষ্ট আছেন এমন কোনো বর্ণনা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ডকুমেন্ট নেই। মামলার আর্জিতে কোথাও আসামিরা অপরাধী এমন কোনো অভিযোগ উল্লেখ নেই। কোম্পানি আইন অনুযায়ী অপরাধ কোম্পানির হবে। কিন্তু এখানে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ কারণে এ মামলা চলতে পারে না।

গত ৬ ডিসেম্বর এ মামলায় গতকাল পর্যন্ত (২৩ ডিসেম্বর) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। ওইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সপ্তম বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে শহীদের স্মরণের আয়োজনে বাধা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শ্রম আইন লঙ্ঘন : ড. ইউনূসের মামলার রায় ১ জানুয়ারি

আপডেট সময় ১০:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এই মামলায় আগামী ১ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করবেন আদালত। রোববার রাতে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট মো. হায়দার আলী।

শুনানিতে আসামিদের খালাসের আর্জি জানিয়েছেন ইউনূসের আইনজীবী। অন্যদিকে ড. ইউনূসসহ বাকি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আর্জি জানিয়েছেন কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে আসামিদের বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও হায়দার আলী।

এর আগে বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার আইনজীবীসহ আদালতে হাজির হন। ১১টা ৩৩ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। দুই দফায় বিরতি দিয়ে মাগরিবের পরও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলে।

গত ২১ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

সেদিন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, এ মামলার সাক্ষীদের বর্ণনায় ড. ইউনূসসহ অন্যরা সংশ্লিষ্ট আছেন এমন কোনো বর্ণনা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ডকুমেন্ট নেই। মামলার আর্জিতে কোথাও আসামিরা অপরাধী এমন কোনো অভিযোগ উল্লেখ নেই। কোম্পানি আইন অনুযায়ী অপরাধ কোম্পানির হবে। কিন্তু এখানে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ কারণে এ মামলা চলতে পারে না।

গত ৬ ডিসেম্বর এ মামলায় গতকাল পর্যন্ত (২৩ ডিসেম্বর) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। ওইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সপ্তম বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।