ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যতবড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক, নির্বাচন হবেই: শামীম ওসমান

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 225

যতবড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক, নির্বাচন হবেই: শামীম ওসমান

যতবড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক না কেনো, ৭ তারিখ নির্বাচন হবে। রাজনীতির মাঠে বিএনপির কর্মীদের দূরঅবস্থার জন্য নিজেরা দায়ী নয় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, লন্ডন থেকে বলে আগুন দাও। আগুন জ্বালিয়ে তারেক রহমান ভাইয়্যাকে পাঠায়। পরে সেই মামলায় চার্জশিট হলে আদালতে শাস্তি হবে। কাঁদবে কারা। তার পরিবার কাঁদবে। ওরাও তো আমাদেরই ছেলেমেয়ে। বিএনপির এসব ছেলেদের জন্য মায়া লাগে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, বিএনপির ছেলেদের অগ্নিসন্ত্রাসের ভিডিও এবং ছবি প্রশাসনের কাছে আছে। আদালতে চার্জশিট হয়ে তারা কাঁদতে থাকবে। তারেক রহমান কিন্তু কাঁদবে না।

আমিও জানি ওরা অপরাধী না। আমি চেষ্টা করবো ওদের সেভ করতে। আমার কথাকে দুর্বলতা ভাববেন না, আমি এতটা দুর্বল না।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের রক্ত কী রক্ত না। আমার ৫৯ জন ছেলেকে এই হাত দিয়ে দাফন করেছি।

আমরা তো কাউকে একটা থাপ্পরও দেইনি। আল্লাহ ওদের বিচার করেছে। অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, তারা পৃথিবীর অনেক বড় শক্তি। ওরা মানচিত্রে থাবা দিয়েছে। সমুদ্র চায়, সেন্ট মার্টিন চায়। বলা হচ্ছে আরব বসন্তে দেশ ইরাক, লিবিয়ার মত হয়ে যাবে। যদি এটা হতে দিতে না চান, ভোট দিতে আসবেন। এটা আপনার দায়িত্ব। আমি বলি না আমাকেই ভোট দিন। যাকে খুশি ভোট দিন। নয়ত ওরা সুযোগ নেবে, এরপরে আর রক্ষা নেই।

স্থানীয় ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে এখানে এসে যে আদর পেয়েছি। আমার মনে হয় আজকে যদি আমার মা বেঁচে থাকত তাহলে ঠিক এভাবেই আদর করত। এই ওয়ার্ড থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি। আমি বাঁচি কী না ঠিক নাই। আমাকে মারার চেষ্টা চলছে। আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন আপনাদের ভালবাসার মূল্য দিতে পারি।

নাটক করতে পারেন না উল্লেখ করে শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি কোথাও ভোট চাই না। কারণ আপনারা আমার চেয়ে কম বোঝেন না। আমি কেন ভোট চাইব। সমস্যা তো আমার না, আপনার সমস্যা। আমি নাটক করতে পারি না। লুঙ্গি দিব শাড়ি দিব এসব ভণ্ডামি আমি করি না। আমরা কাজ করেছি। আল্লাহর হুকুম হয়েছে আমি করেছি। এই এলাকার চেয়ারম্যান আমার বড় ভাই সাইফুল্লাহ বাদল। তারা চেয়েছেন আর আমি সাথে সাথে কাজের ব্যবস্থা করেছি।

বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের জীবন শেষ পর্যায়ে। আমরা এই বাচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যত চাই। আমি যে আপনাদের সাথে হাসছি, মিথ্যা বলবো না। আমি নাটক করছি। মন থেকে করতে পারছি না। গত পরশুদিন একটা ঘটনা আমাকে ওলট-পালট করে দিয়েছে। একটা মানুষ তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বসে আছে, ওরা ট্রেনে আগুন দিয়ে দিল। আমার নাতি আছে চার বছরের। ওরা এত জঘন্য কাজ করতে পারে আমি ভাবতেও পারিনি। একটা বাচ্চা তার মায়ের কোলে দুজনে আগুনে পুড়ে একসাথে ছাই হয়ে গেছে। এটার নাম কী রাজনীতি, এটা রাজনীতি হলে আমার বলার কিছু নেই। ২০১৩-১৪ সালে ওরা এতগুলো মানুষ পুড়িয়ে মারল। তখন ওদের বিচার করলে ওরা এগুলো করতে পারত না। এটা আমাদের ব্যর্থতা।

সরকারের ‍উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ১২৫ কোটি টাকা দিয়ে শুধু প্রাইমারি স্কুল করেছি। ২২৫ কোটি টাকার হাইস্কুল করেছি। বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পাস হয়ে গেছে। আমি হাসপাতাল চেয়েছিলাম। শেখ হাসিনা পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অনুমোদন দিয়েছেন। এখানে শেখ কামাল আইটি ইনিস্টিউট হবে, কাজ শুরু হয়ে গেছে। খুব বড় চ্যালেঞ্জ কিন্তু এবার। নিজে ভোট দিবেন, অন্যকেও ভোট দিতে বলবেন। না হলে আপনার এ মানচিত্র স্বাধীন থাকবে না। তার যদি কোন ক্ষতি করতে পারে তাহলে আর স্বাধীন থাকতে পারবেন না।

জনপ্রিয় সংবাদ

যতবড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক, নির্বাচন হবেই: শামীম ওসমান

আপডেট সময় ০৮:০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

যতবড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক না কেনো, ৭ তারিখ নির্বাচন হবে। রাজনীতির মাঠে বিএনপির কর্মীদের দূরঅবস্থার জন্য নিজেরা দায়ী নয় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, লন্ডন থেকে বলে আগুন দাও। আগুন জ্বালিয়ে তারেক রহমান ভাইয়্যাকে পাঠায়। পরে সেই মামলায় চার্জশিট হলে আদালতে শাস্তি হবে। কাঁদবে কারা। তার পরিবার কাঁদবে। ওরাও তো আমাদেরই ছেলেমেয়ে। বিএনপির এসব ছেলেদের জন্য মায়া লাগে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, বিএনপির ছেলেদের অগ্নিসন্ত্রাসের ভিডিও এবং ছবি প্রশাসনের কাছে আছে। আদালতে চার্জশিট হয়ে তারা কাঁদতে থাকবে। তারেক রহমান কিন্তু কাঁদবে না।

আমিও জানি ওরা অপরাধী না। আমি চেষ্টা করবো ওদের সেভ করতে। আমার কথাকে দুর্বলতা ভাববেন না, আমি এতটা দুর্বল না।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের রক্ত কী রক্ত না। আমার ৫৯ জন ছেলেকে এই হাত দিয়ে দাফন করেছি।

আমরা তো কাউকে একটা থাপ্পরও দেইনি। আল্লাহ ওদের বিচার করেছে। অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, তারা পৃথিবীর অনেক বড় শক্তি। ওরা মানচিত্রে থাবা দিয়েছে। সমুদ্র চায়, সেন্ট মার্টিন চায়। বলা হচ্ছে আরব বসন্তে দেশ ইরাক, লিবিয়ার মত হয়ে যাবে। যদি এটা হতে দিতে না চান, ভোট দিতে আসবেন। এটা আপনার দায়িত্ব। আমি বলি না আমাকেই ভোট দিন। যাকে খুশি ভোট দিন। নয়ত ওরা সুযোগ নেবে, এরপরে আর রক্ষা নেই।

স্থানীয় ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে এখানে এসে যে আদর পেয়েছি। আমার মনে হয় আজকে যদি আমার মা বেঁচে থাকত তাহলে ঠিক এভাবেই আদর করত। এই ওয়ার্ড থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি। আমি বাঁচি কী না ঠিক নাই। আমাকে মারার চেষ্টা চলছে। আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন আপনাদের ভালবাসার মূল্য দিতে পারি।

নাটক করতে পারেন না উল্লেখ করে শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি কোথাও ভোট চাই না। কারণ আপনারা আমার চেয়ে কম বোঝেন না। আমি কেন ভোট চাইব। সমস্যা তো আমার না, আপনার সমস্যা। আমি নাটক করতে পারি না। লুঙ্গি দিব শাড়ি দিব এসব ভণ্ডামি আমি করি না। আমরা কাজ করেছি। আল্লাহর হুকুম হয়েছে আমি করেছি। এই এলাকার চেয়ারম্যান আমার বড় ভাই সাইফুল্লাহ বাদল। তারা চেয়েছেন আর আমি সাথে সাথে কাজের ব্যবস্থা করেছি।

বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, আমাদের জীবন শেষ পর্যায়ে। আমরা এই বাচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যত চাই। আমি যে আপনাদের সাথে হাসছি, মিথ্যা বলবো না। আমি নাটক করছি। মন থেকে করতে পারছি না। গত পরশুদিন একটা ঘটনা আমাকে ওলট-পালট করে দিয়েছে। একটা মানুষ তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বসে আছে, ওরা ট্রেনে আগুন দিয়ে দিল। আমার নাতি আছে চার বছরের। ওরা এত জঘন্য কাজ করতে পারে আমি ভাবতেও পারিনি। একটা বাচ্চা তার মায়ের কোলে দুজনে আগুনে পুড়ে একসাথে ছাই হয়ে গেছে। এটার নাম কী রাজনীতি, এটা রাজনীতি হলে আমার বলার কিছু নেই। ২০১৩-১৪ সালে ওরা এতগুলো মানুষ পুড়িয়ে মারল। তখন ওদের বিচার করলে ওরা এগুলো করতে পারত না। এটা আমাদের ব্যর্থতা।

সরকারের ‍উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ১২৫ কোটি টাকা দিয়ে শুধু প্রাইমারি স্কুল করেছি। ২২৫ কোটি টাকার হাইস্কুল করেছি। বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পাস হয়ে গেছে। আমি হাসপাতাল চেয়েছিলাম। শেখ হাসিনা পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অনুমোদন দিয়েছেন। এখানে শেখ কামাল আইটি ইনিস্টিউট হবে, কাজ শুরু হয়ে গেছে। খুব বড় চ্যালেঞ্জ কিন্তু এবার। নিজে ভোট দিবেন, অন্যকেও ভোট দিতে বলবেন। না হলে আপনার এ মানচিত্র স্বাধীন থাকবে না। তার যদি কোন ক্ষতি করতে পারে তাহলে আর স্বাধীন থাকতে পারবেন না।