তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছ। নাম পেয়ে যাচাই করা হচ্ছে। শিগগিরিই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ডিবি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করে জানানো হবে।
জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে ডিবি। যে কোনো ঘটনা ঘটার পরে ডিবি সব সময় ছায়াতদন্ত করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রেলে নাশকতা ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে শিশুসহ চারটি তাজা প্রাণ চলে যায়। যারা এ কাজটি করেছে তারা ২৮ তারিখের পর থেকেই নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য ও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্যই এই কাজটি করেছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গায় তারা আগুন লাগাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে এমন তথ্য পেয়েছি আমরা।
তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে। নতুন করে তারা এখন ট্রেনে আগুন লাগানো শুরু করেছে জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ট্রেনে আগুন লাগানো রাজনৈতিক কোনো পার্ট না। এটা এক ধরনের দুর্বৃত্তায়ন। যারা ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়েছে তারা ছাড় পাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ডিবি পুলিশ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই নাম পেয়েছি, আশা করি তাদের দ্রুতই পেয়েছি।
ভাড়াটিয়া হিসেবে হোক আর টাকার লোভে হোক যারা এই কাজ করছেন সেই জায়গা থেকে সরে এসে নাশকতা ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন। কোনো বড় ভাইয়ের নির্দেশে এই কাজটি করা মোটেও ঠিক না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সামনে হবে। সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কেউ যদি নাশকতা করে, দুর্বৃত্তায়ন করে তাদের আইনের আওতায় আনব। এক দুইটা গাড়ি গাড়িতে আগুন লাগালেই কিংবা ককটেল ফুটালেই যে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে ঠিক নয়। আমরা প্রতিটি জায়গায় কাজ করছি, আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছি, চেকপোস্ট রয়েছে, টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।’
সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘যারা নাশকতা করতে চায় তাদের নাম-নম্বর নিয়ে আমাদের জানাবেন, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনব।