ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাহস থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন: মঈন খান

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৪:১৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 278

সাহস থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন: মঈন খান

বায়ান্ন বছর আগে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীন দেশের সূচনা হয়েছিল। বিজয় হয়েছিল গণতন্ত্রের। বর্তমান সরকার সেই গণতন্ত্র হত্যা করে বিজয় দিবসকে পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

এ সময় ‍তিনি আরো বলেন সাহস থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন। পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবারমুক্ত অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে ২২ হাজারেরও বেশি পরিবার সৃষ্টি করে অলিগার্কি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিজয় দিবসকে পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে সরকার।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিজয় শোভাযাত্রার আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

এ শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর প্রথমবারের মতো নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। তবে কার্যালয় এখনো বন্ধ। বেলা পৌনে ২টায় ওলামা দলের নেতা আবুল হোসেনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয়। এর পর মোনাজাত করা হয়।

মঈন খান বলেন, সাহস থাকলে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। কিন্তু বিজয় দিবসকে পাল্টে দিয়েছে সরকার। তারা এখন পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে। আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে প্রতিবাদী মানুষকে জেলে পুরে রেখেছে এ সরকার। এভাবে তারা বিজয় দিবসকে পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে। সরকারের সাহস থাকলে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিন। যেমনটি ১৯৯৬ সালে আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আজকে সরকার নাকি দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তবেই দেখা যাবে জনগণের কাছে কে জনপ্রিয়? এখন যেভাবে নির্বাচনের সিট ভাগাভাগি চলছে তাকে নির্বাচন বলে না। এটা বিশ্বের কোথাও নেই। বিশ্বের কোথাও ভোটচুরি করে না।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচন রাতেই হয়ে গেছে। এবারে নির্বাচনকে বলা হচ্ছে ডামি নির্বাচন। এই ডামি নির্বাচন করতে গিয়ে অযথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ নির্বাচনে কারা নির্বাচিত হবেন তা সবাই জানে। এত ভনিতা না করে এদের নাম ঘোষণা করে দিলেই হলো। হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইলেকশন ইলেকশন খেলার কোনো প্রয়োজন নেই।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রা আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। পরে শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাবেক এমপি সৈয়দ আশরাফী পাপিয়া, রাশেদা বেগম হীরা, রেহানা আক্তার রানু, সাবেক যুবদল নেতা মোরতাজুল করিম বাদরুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জলকামান, প্রিজন ভ্যানও ছিল।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সাহস থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন: মঈন খান

আপডেট সময় ০৪:১৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বায়ান্ন বছর আগে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীন দেশের সূচনা হয়েছিল। বিজয় হয়েছিল গণতন্ত্রের। বর্তমান সরকার সেই গণতন্ত্র হত্যা করে বিজয় দিবসকে পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

এ সময় ‍তিনি আরো বলেন সাহস থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন। পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবারমুক্ত অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে ২২ হাজারেরও বেশি পরিবার সৃষ্টি করে অলিগার্কি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিজয় দিবসকে পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে সরকার।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিজয় শোভাযাত্রার আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

এ শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর প্রথমবারের মতো নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। তবে কার্যালয় এখনো বন্ধ। বেলা পৌনে ২টায় ওলামা দলের নেতা আবুল হোসেনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয়। এর পর মোনাজাত করা হয়।

মঈন খান বলেন, সাহস থাকলে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। কিন্তু বিজয় দিবসকে পাল্টে দিয়েছে সরকার। তারা এখন পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে। আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে প্রতিবাদী মানুষকে জেলে পুরে রেখেছে এ সরকার। এভাবে তারা বিজয় দিবসকে পরাজয় দিবসে পরিণত করেছে। সরকারের সাহস থাকলে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিন। যেমনটি ১৯৯৬ সালে আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আজকে সরকার নাকি দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তবেই দেখা যাবে জনগণের কাছে কে জনপ্রিয়? এখন যেভাবে নির্বাচনের সিট ভাগাভাগি চলছে তাকে নির্বাচন বলে না। এটা বিশ্বের কোথাও নেই। বিশ্বের কোথাও ভোটচুরি করে না।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচন রাতেই হয়ে গেছে। এবারে নির্বাচনকে বলা হচ্ছে ডামি নির্বাচন। এই ডামি নির্বাচন করতে গিয়ে অযথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ নির্বাচনে কারা নির্বাচিত হবেন তা সবাই জানে। এত ভনিতা না করে এদের নাম ঘোষণা করে দিলেই হলো। হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইলেকশন ইলেকশন খেলার কোনো প্রয়োজন নেই।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রা আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। পরে শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাবেক এমপি সৈয়দ আশরাফী পাপিয়া, রাশেদা বেগম হীরা, রেহানা আক্তার রানু, সাবেক যুবদল নেতা মোরতাজুল করিম বাদরুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জলকামান, প্রিজন ভ্যানও ছিল।