নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিটন-সৌম্যরা, যাতে আগে ব্যাট করে ৩৩৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভার ২ বলে ৩০৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড একাদশ। ২৬ রানের জয় পান সফরকারীরা।
বৃহস্পতিবার লিনকনে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন রিশাদ।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কিউই একাদশের প্রথম আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। ১৮ বলে ২২ রান করে ফেরেন জ্যাকব কামিং। নিজের পরের ওভারে আবারও উইকেটের দেখা পান এই পেসার। ১২ বলে ৮ রান করেছেন ভুলা।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার শিকার ধরেন তানজিম হাসান সাকিব। ৩২ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সুন্দি। এর পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জামাল টড। আফিফকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। একশর আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারান কিউইরা।
এর পর প্রতিরোধ গড়েন কিউইরা। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ভারত পোপলি। সন্দীপ প্যাটেলও তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। দুজনের জুটি শতরান ছাড়ায়। দেখেশুনে খেলতে খেলতে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান পোপলি। তবে ৯০ বলে ৯২ রান করা পোপলিকে বোল্ড করেন আফিফ। এর পর বেশিক্ষণ টিকেননি সন্দীপও। সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৭৭ বলে ১১ চার ও দুটি ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে ২৬ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জই ফিল্ড। তার এই ইনিংস শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। দুটি করে উইকেট নেন হাসান ও আফিফ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে যোগ করেন ৪৭ রান। ৩১ বলে ৩৩ রান করে বিজয় ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
এদিন তিনে খেলতে নামেন সৌম্য সরকার। দলে ফিরেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। যদিও এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিপিবদ্ধ হবে না, তার পরও সৌম্যের মানসিক দৃঢ়তা বাড়াবে এই ইনিংস। সাজঘরে ফেরার আগে ৭১ বলে করেছে ৫৯ রান। ফিফটির দেখা পেয়েছেন তানজিদ তামিমও। এই তরুণ ওপেনার এদিনও বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে ৫৮ রান। জাতীয় দলের সঙ্গে প্রথমবার দেশের বাইরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে এমন শুরুটা তাকে নিশ্চয়ই স্বস্তি দেবে।
রানের দেখা পেয়েছেন লিটন দাসও। যদিও তিনি ধীরগতির শুরু করেছিলেন। তবে শেষের দিকে হাত খুলে খেলে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন। তিনি ৫ চার আর এক ছক্কায় ৬৩ বলে করেছেন ৫৫ রান।
টপঅর্ডারের চার ব্যাটারের সবাই ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেও ব্যর্থ ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। তাওহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন দুই অংক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন। তাদের দ্রুত বিদায়ের পরও দল বড় সংগ্রহ পেয়েছে রিশাদ হোসেনের কল্যাণে। তিনি সাতে নেমে ৫৪ বলে করেছেন ৮৭ রান।