ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo টিভিতে আজকের খেলা Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন Logo ‘যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই যোদ্ধাদের নাম’ Logo গোপালগঞ্জকে ৪ জেলায় ভাগ করে দিয়ে ৬৩ জেলার বাংলাদেশ করা হোক- আমির হামজা Logo ‘সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি’ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

২৯ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের ঘোষণা হেফাজতে ইসলামের!

২৯ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের ঘোষণা হেফাজতে ইসলামের!

রাজনৈতিক উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকায় আবারও মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার বাদ আসর রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং আগামী ২৯ ডিসেম্বরের আগে মাওলানা মামুনুল হকসহ বাকি কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে।

এর আগে তার সভাপতিত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাওলানা মামুনুল হকসহ অনেক আলেমকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমদের ন্যূনতম সম্মান দেখানো হচ্ছে না। তারা যতটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন সে ক্ষেত্রেও অন্যায় ও বৈষম্য করা হচ্ছে।

দেশের শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজের সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার নির্মমভাবে হরণ করা হচ্ছে। যেসব আলেম ইতিমধ্যে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, মাসের বেশির ভাগ দিন হাজিরার জন্য তাদের এক আদালত থেকে আরেক আদালতে হাজিরার জন্য ঘুরপাক খেতে হচ্ছে। আলেমদের সাথে হয়রানিমূলক এ সকল আচরণ অতিসত্ত্বর বন্ধ করতে হবে। সাজিদুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের সিলেবাস থেকে পর্যায়ক্রমে ইসলামী ইতিহাস, মুসলিম সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ, উদ্দীপনামূলক কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ ইত্যাদি বাদ দেওয়া হয়েছে।

অধিকন্তু নতুন কারিকুলামে যৌন শিক্ষাসহ এমন বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে যা আমাদের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জন্য একেবারেই বেমানান। শিক্ষা ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ আমাদের দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে ইসলাম হারা করার জন্য একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তাই অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক সকল বিষয়াদী বাতিল করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মাহফুজুল হক, জুনায়েদ আল হাবীব, মুহিউদ্দীন রাব্বানী, ফজলুল করীম কাসেমী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদরিস, মুনির হুসাইন কাসেমী, বশীরুল্লাহ, আতাউল্লাহ আমীন, জাবের কাসেমী, ফয়সাল আহমাদ, আলী আকবর, আজহারুল ইসলাম, যুবায়ের আহমাদ, এনামুল হক মুসা, আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, রাসেদ বিন নূর, রফিকুল ইসলাম মাদানী, শরিফুল্লাহ, আফসার মাহমুদ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

২৯ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের ঘোষণা হেফাজতে ইসলামের!

আপডেট সময় ০৮:২৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজনৈতিক উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকায় আবারও মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার বাদ আসর রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং আগামী ২৯ ডিসেম্বরের আগে মাওলানা মামুনুল হকসহ বাকি কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে।

এর আগে তার সভাপতিত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাওলানা মামুনুল হকসহ অনেক আলেমকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমদের ন্যূনতম সম্মান দেখানো হচ্ছে না। তারা যতটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন সে ক্ষেত্রেও অন্যায় ও বৈষম্য করা হচ্ছে।

দেশের শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজের সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার নির্মমভাবে হরণ করা হচ্ছে। যেসব আলেম ইতিমধ্যে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, মাসের বেশির ভাগ দিন হাজিরার জন্য তাদের এক আদালত থেকে আরেক আদালতে হাজিরার জন্য ঘুরপাক খেতে হচ্ছে। আলেমদের সাথে হয়রানিমূলক এ সকল আচরণ অতিসত্ত্বর বন্ধ করতে হবে। সাজিদুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের সিলেবাস থেকে পর্যায়ক্রমে ইসলামী ইতিহাস, মুসলিম সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ, উদ্দীপনামূলক কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ ইত্যাদি বাদ দেওয়া হয়েছে।

অধিকন্তু নতুন কারিকুলামে যৌন শিক্ষাসহ এমন বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে যা আমাদের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জন্য একেবারেই বেমানান। শিক্ষা ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ আমাদের দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে ইসলাম হারা করার জন্য একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তাই অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক সকল বিষয়াদী বাতিল করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মাহফুজুল হক, জুনায়েদ আল হাবীব, মুহিউদ্দীন রাব্বানী, ফজলুল করীম কাসেমী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদরিস, মুনির হুসাইন কাসেমী, বশীরুল্লাহ, আতাউল্লাহ আমীন, জাবের কাসেমী, ফয়সাল আহমাদ, আলী আকবর, আজহারুল ইসলাম, যুবায়ের আহমাদ, এনামুল হক মুসা, আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, রাসেদ বিন নূর, রফিকুল ইসলাম মাদানী, শরিফুল্লাহ, আফসার মাহমুদ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।