ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে সোনা উদ্ধারে গিয়ে ৪ পুলিশ সদস্য আহত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চুরি হওয়া সোনা উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে চার পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ দিঘির পাড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এসময় পুলিশের কাছ থেকে ওয়াকিটকি ও ২০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা। পরে ওয়্যারলেস সেট উদ্ধার হলেও ২০ রাউন্ড গুলি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

হামলার শিকার পুলিশ সদস্যরা হলেন রংপুরের পীরগঞ্জে থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কামাল হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপাল চন্দ্র, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত হোসেন ও কনস্টেবল জাহিদ, মামলার বাদী রনি দাস ও তার স্বজন প্রদীপ দাস।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৮ নভেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জ থানার প্রধান সড়ক সংলগ্ন সুকান্ত কর্মকারের সরকার জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোর দোকানের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার ভর্তি সিন্দুকসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন দোকানমালিক। পরে পুলিশ লুট করা সোনা উদ্ধার ও চোর দলকে শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, লুট করা মালামাল গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় আছে। বুধবার সন্ধ্যায় সাদা পোশাকে পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ দিঘিরপাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

সেখানে চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপের চালক কাদের ওরফে ধুক্কাকে আটক করা হয়। পরে চালকের দেওয়া তথ্যমতে, স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী লিটন হোসেনকে আটক করে তার দোকান থেকে ১৬ ভরি সোনা ও ৮০ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়। তাদের থানায় নিয়ে আসার সময় চোর দলের সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের চ্যালেঞ্জ করে পরিচয় জানতে চান। এসময় পুলিশ সদস্যরা তাদের পরিচয় দিলেও ধুক্কা ও লিটন লুট করা মালামাল নিয়ে যেতে বাধা দেন। দোকানের মালিক লিটন হোসেনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর ও পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন।

এসময় পুলিশের কাছে থাকা ২০ রাউন্ড গুলি, তিনটা ওয়্যারলেস সেট লুট করেন তারা। খবর পেয়ে রাতেই কালিয়াকৈর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে লুট হওয়া তিনটি ওয্যারলেস সেট উদ্ধার করতে পারলেও খোয়া যাওয়া ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে পারেনি।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসীকে উসকে দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এসময় ওয়াকিটকি ও গুলি খোয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ওয়াকিটকি উদ্ধার করা গেলেও খোয়া যাওয়া গুলি উদ্ধারে অভিযান চলছে

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে সোনা উদ্ধারে গিয়ে ৪ পুলিশ সদস্য আহত

আপডেট সময় ০৫:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চুরি হওয়া সোনা উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে চার পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ দিঘির পাড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এসময় পুলিশের কাছ থেকে ওয়াকিটকি ও ২০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা। পরে ওয়্যারলেস সেট উদ্ধার হলেও ২০ রাউন্ড গুলি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

হামলার শিকার পুলিশ সদস্যরা হলেন রংপুরের পীরগঞ্জে থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কামাল হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপাল চন্দ্র, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত হোসেন ও কনস্টেবল জাহিদ, মামলার বাদী রনি দাস ও তার স্বজন প্রদীপ দাস।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৮ নভেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জ থানার প্রধান সড়ক সংলগ্ন সুকান্ত কর্মকারের সরকার জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোর দোকানের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার ভর্তি সিন্দুকসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন দোকানমালিক। পরে পুলিশ লুট করা সোনা উদ্ধার ও চোর দলকে শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, লুট করা মালামাল গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় আছে। বুধবার সন্ধ্যায় সাদা পোশাকে পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ দিঘিরপাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

সেখানে চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপের চালক কাদের ওরফে ধুক্কাকে আটক করা হয়। পরে চালকের দেওয়া তথ্যমতে, স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী লিটন হোসেনকে আটক করে তার দোকান থেকে ১৬ ভরি সোনা ও ৮০ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়। তাদের থানায় নিয়ে আসার সময় চোর দলের সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের চ্যালেঞ্জ করে পরিচয় জানতে চান। এসময় পুলিশ সদস্যরা তাদের পরিচয় দিলেও ধুক্কা ও লিটন লুট করা মালামাল নিয়ে যেতে বাধা দেন। দোকানের মালিক লিটন হোসেনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর ও পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন।

এসময় পুলিশের কাছে থাকা ২০ রাউন্ড গুলি, তিনটা ওয়্যারলেস সেট লুট করেন তারা। খবর পেয়ে রাতেই কালিয়াকৈর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে লুট হওয়া তিনটি ওয্যারলেস সেট উদ্ধার করতে পারলেও খোয়া যাওয়া ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে পারেনি।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসীকে উসকে দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এসময় ওয়াকিটকি ও গুলি খোয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ওয়াকিটকি উদ্ধার করা গেলেও খোয়া যাওয়া গুলি উদ্ধারে অভিযান চলছে