গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে একটি বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই বিদ্যালয়ে গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিল।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) খান ইউনিসের মা’ন বিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অনেককে উদ্ধার করে স্থানীয় নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিস। কয়েক দিন ধরে শহরটিতে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন শহরটির অনেক জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করেছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, চলমান সংঘাতে বেসামরিক মানুষদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। সংগঠনটির যোদ্ধারা বাস্তুচ্যুত মানুষদের মধ্যে আত্মগোপন করে রয়েছেন। এমনকি হাসপাতাল আর বিদ্যালয়েও লুকিয়ে রয়েছেন তারা। হামাস বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ বলছে, অবরুদ্ধ ও সংকীর্ণ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে চলমান যুদ্ধে ৮০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেছে ১৬ হাজার মানুষের। গাজায় নির্বিচার হামলায় ৬০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।