ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে ফের মুখোমুখি কাজী জাফর উল্যাহ ও নিক্সন চৌধুরী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে ফের মুখোমুখি হয়েছেন সারা বছর বাগ্‌যুদ্ধে সরব থাকা কাজী জাফর উল্যাহ ও মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। এ নিয়ে তারা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কাজী জাফর উল্যাহ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। আর মজিবুর রহমান নিক্সন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এবং যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ২০২০ সালের নভেম্বরে মজিবুর রহমান যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছিলেন। কিন্তু পরপর দুইবার পরাজিত হওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত কাজী জাফর উল্যাহকেই মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

এই দুই নেতা প্রথম মুখোমুখি হন ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে কাজী জাফর উল্যাহকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করেন রাজনীতিতে নতুন মুখ মজিবুর রহমান। কাজী জাফর উল্যাহ বরাবরই আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট নেতা। মজিবুর রহমানের মতো নতুন এক ব্যক্তির কাছে কাজী জাফর উল্যাহর হার তাই সারা দেশে চমক সৃষ্টি করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দুই নেতা আবার মুখোমুখি হন এবং ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে।

ফরিদপুর-৪ আসনের অধীন এলাকার রাজনৈতিক সচেতন কয়েকজন বলেন, ২০১৪ সালে মজিবুর রহমান চৌধুরী ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসনে তার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা-কর্মীদের তার দলে ভেড়ানো, তার সমর্থকদের স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচনে জিতিয়ে আনা, এমনকি হামলা–মামলা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় তার দল ভারী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে ফের মুখোমুখি কাজী জাফর উল্যাহ ও নিক্সন চৌধুরী

আপডেট সময় ০১:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে ফের মুখোমুখি হয়েছেন সারা বছর বাগ্‌যুদ্ধে সরব থাকা কাজী জাফর উল্যাহ ও মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। এ নিয়ে তারা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কাজী জাফর উল্যাহ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। আর মজিবুর রহমান নিক্সন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এবং যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ২০২০ সালের নভেম্বরে মজিবুর রহমান যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছিলেন। কিন্তু পরপর দুইবার পরাজিত হওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত কাজী জাফর উল্যাহকেই মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

এই দুই নেতা প্রথম মুখোমুখি হন ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে কাজী জাফর উল্যাহকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করেন রাজনীতিতে নতুন মুখ মজিবুর রহমান। কাজী জাফর উল্যাহ বরাবরই আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট নেতা। মজিবুর রহমানের মতো নতুন এক ব্যক্তির কাছে কাজী জাফর উল্যাহর হার তাই সারা দেশে চমক সৃষ্টি করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দুই নেতা আবার মুখোমুখি হন এবং ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে।

ফরিদপুর-৪ আসনের অধীন এলাকার রাজনৈতিক সচেতন কয়েকজন বলেন, ২০১৪ সালে মজিবুর রহমান চৌধুরী ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসনে তার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা-কর্মীদের তার দলে ভেড়ানো, তার সমর্থকদের স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচনে জিতিয়ে আনা, এমনকি হামলা–মামলা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় তার দল ভারী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।