ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজার ৫২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৬ জন।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস শাসিত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরার বরাতে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
আল কুদরা এএফপিকে আরও বলেন, গত কয়েক ঘণ্টায় ধ্বংসাবশেষ থেকে কেবল ৩১৬টি মৃতদেহ এবং ৬৬৪ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা এবং হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।
গতকাল হামাসনিয়ন্ত্রিত সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৭ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি স্থল অভিযানও চালানো হয়। গাজায় ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।
সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই আবারও গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। স্থলপথে অভিযান চালাতে দক্ষিণ গাজায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আকাশপথে হামলার পাশাপাশি ট্যাংক নিয়ে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। গাজা নগরীতে হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।