দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিশাল প্লাটিনাম খনিতে দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং ৭৫ জন আহত হয়েছেন। খনিতে শ্রমিকদের ব্যবহৃত একটি লিফট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে খনির কম্পানি মঙ্গলবার জানিয়েছে।
ইমপালা প্লাটিনাম বলেছে, সোমবার জোহানেসবার্গের উত্তর-পশ্চিমে রাস্টেনবার্গ শহরে তাদের খনিতে ‘বিধ্বংসী দুর্ঘটনা’ ঘটেছে। এ সময় ৮০ জনেরও বেশি শ্রমিক তাদের শিফট শেষে একটি খাদ ছেড়ে যাচ্ছিলেন।
তাদের মতে, লিফটটি ‘অপ্রত্যাশিতভাবে নামতে শুরু করায়’ স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার আগে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার তদন্তর জন্য মঙ্গলবার খনিতে সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কম্পানিটি বলেছে, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। দুর্ঘটনায় ৭৫জন শ্রমিক আহত হয়েছেন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিকো মুলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের সহকর্মীদের হারিয়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত। সব আত্মীয়র সঙ্গে যোগাযোগ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া মুখপাত্র জোহান থেরন বলেছেন, কেউ কেউ গুরুতর আহত হয়েছেন। অধিকাংশের গোড়ালি ও পায ভেঙে গেছে।
অন্যরা ছোটখাটো আঁচড় নিয়ে বেরিয়ে গেছে। অনেক গভীর খনিতে এমন লিফট রয়েছে, যা একবারে শতাধিক লোককে বহন করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি বছর কয়েক ডজন খনি শ্রমিক নিহত হয়। সেখানে কয়েক লাখ মানুষ এ শিল্পে কাজ করে। যদিও গত দুই দশক ধরে নিরাপত্তার মান বাড়ানোর কারণে এ সংখ্যা কমছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৬০ সালে কোলব্রুক দুর্যোগে ৪৩০ জনেরও বেশি কয়লাখনি শ্রমিক নিহত হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা প্লাটিনাম উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ। বিশ্বের গভীরতম খনিও দেশটিতে রয়েছে। সোনা, হীরা, কয়লা ও অন্যান্য কাঁচামালের প্রধান রপ্তানিকারক দক্ষিণ আফ্রিকা।