ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘শহীদ মুগ্ধের বাবা ও আতিকুলকে চেনেন না, তিনি শুধু চিনেন এস আলমের গাড়ি Logo “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, পাকিস্তানের সব উপকার ভুলে গেছে আফগানিস্তান” Logo বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সকল ফ্লাইট বাতিল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা Logo ‘শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে’ Logo বিলুপ্তির পথ থেকে জৌলুস ফিরে পাচ্ছে ৩শ বছর পুরনো জামালপুরে ঔতিহ্যবাহী শুটকির বাজার Logo জুলাই যোদ্ধাদের অবরোধ কর্মসূচি আজ Logo আগামীকাল রিয়া মনিকে তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করব: হিরো আলম Logo কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে মহাসড়কে হাজারো মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা Logo রায়পুরের দুই বোনের বিস্ময়কর সাফল্য: একসঙ্গে হাফেজা, একসঙ্গে জিপিএ-৫ Logo এনসিপির বিচক্ষণতার অভাব রয়েছে: মির্জা ফখরুল

জুলাই যোদ্ধাদের অবরোধ কর্মসূচি আজ

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের ‘শহীদ’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এবং আহত ব্যক্তিদের জন্য আইনি সহায়তা এসব দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে ‘জুলাই সনদে’ উল্লেখ ও বাস্তবায়নের বিষয়টি যুক্ত না হওয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই যোদ্ধারা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই যোদ্ধা সংসদের মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা সৌরভ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।তিনি জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে ও তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের প্রতিটি জেলায় দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

সৌরভ বলেছেন, আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের ওপর হওয়া হামলার প্রতিবাদ এবং আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিটি জেলা শহরের মহাসড়কে অবরোধ পালিত হবে। অবরোধে জুলাই আহতদের সঙ্গে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের জীবন ও রক্তের স্বীকৃতি না পাই, ভবিষ্যতে এ রাষ্ট্রে আর বিপ্লবী জন্ম হবে না।

তিন দফা দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, জুলাই শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের ‘বীর’ মর্যাদা দিয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, আহত ও শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা এবং আহতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা ও হয়রানি বন্ধ রাখতে দায়মুক্তি ও সুরক্ষা আইনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এর আগে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করা জুলাই যোদ্ধাদের ধাওয়া দিয়ে ওই এলাকা থেকে বের করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রাখে নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটের দিকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

জানা যায়, গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের মঞ্চ এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা সংসদ ভবন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও এবিপিএন সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেন।

এর আগে, শুক্রবার সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অনেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘শহীদ মুগ্ধের বাবা ও আতিকুলকে চেনেন না, তিনি শুধু চিনেন এস আলমের গাড়ি

জুলাই যোদ্ধাদের অবরোধ কর্মসূচি আজ

আপডেট সময় ০৭:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের ‘শহীদ’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আহত ব্যক্তিদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এবং আহত ব্যক্তিদের জন্য আইনি সহায়তা এসব দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে ‘জুলাই সনদে’ উল্লেখ ও বাস্তবায়নের বিষয়টি যুক্ত না হওয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই যোদ্ধারা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই যোদ্ধা সংসদের মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা সৌরভ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।তিনি জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে ও তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের প্রতিটি জেলায় দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

সৌরভ বলেছেন, আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের ওপর হওয়া হামলার প্রতিবাদ এবং আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিটি জেলা শহরের মহাসড়কে অবরোধ পালিত হবে। অবরোধে জুলাই আহতদের সঙ্গে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের জীবন ও রক্তের স্বীকৃতি না পাই, ভবিষ্যতে এ রাষ্ট্রে আর বিপ্লবী জন্ম হবে না।

তিন দফা দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, জুলাই শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের ‘বীর’ মর্যাদা দিয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, আহত ও শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা এবং আহতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা ও হয়রানি বন্ধ রাখতে দায়মুক্তি ও সুরক্ষা আইনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এর আগে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করা জুলাই যোদ্ধাদের ধাওয়া দিয়ে ওই এলাকা থেকে বের করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রাখে নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটের দিকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

জানা যায়, গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের মঞ্চ এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা সংসদ ভবন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও এবিপিএন সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেন।

এর আগে, শুক্রবার সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অনেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন।