ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিলো না: আসিফ মাহমুদ

জুলাই আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিলো না: আসিফ মাহমুদ

রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ২০২৪ সালের আগস্টে ৬ জনকে গুলি করে হত্যাসহ সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ট্রাইব্যুনালে দায়ীদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, জুলাই আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিলো না; সবার মতামত নেওয়া হতো।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্য দেন তিনি।

এর আগে দুপুর সোয়া ২টার পর ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান আসিফ মাহমুদ। ২টা ৫৫ মিনিটে এজলাসকক্ষে যান তিনি। এরপর তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

গত ৯ অক্টোবর এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে এসেছিলেন উপদেষ্টা আসিফ। দুপুর পৌনে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। তবে শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জবানবন্দি নিতে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

ওই দিন ১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে নিজের সাক্ষ্যে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পুরো পটভূমি তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। একইসঙ্গে গত বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুলে চালানো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নৃশংসতার বিবরণ দেন তিনি। এমনকি ডিবি পরিচয়ে রাতের আঁধারে নিজেকে গুম করার কথাও জবানবন্দিতে পেশ করেন তিনি। এসব ঘটনার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরাসরি জড়িতদের দায়ী করেছেন এই উপদেষ্টা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ পৃথিবীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিলো না: আসিফ মাহমুদ

আপডেট সময় ০৯:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ২০২৪ সালের আগস্টে ৬ জনকে গুলি করে হত্যাসহ সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ট্রাইব্যুনালে দায়ীদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, জুলাই আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিলো না; সবার মতামত নেওয়া হতো।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্য দেন তিনি।

এর আগে দুপুর সোয়া ২টার পর ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান আসিফ মাহমুদ। ২টা ৫৫ মিনিটে এজলাসকক্ষে যান তিনি। এরপর তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

গত ৯ অক্টোবর এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে এসেছিলেন উপদেষ্টা আসিফ। দুপুর পৌনে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। তবে শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জবানবন্দি নিতে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

ওই দিন ১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে নিজের সাক্ষ্যে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পুরো পটভূমি তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। একইসঙ্গে গত বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুলে চালানো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নৃশংসতার বিবরণ দেন তিনি। এমনকি ডিবি পরিচয়ে রাতের আঁধারে নিজেকে গুম করার কথাও জবানবন্দিতে পেশ করেন তিনি। এসব ঘটনার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরাসরি জড়িতদের দায়ী করেছেন এই উপদেষ্টা।