ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একমত হওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • 269

গণভোটে সম্মতি জানানোয় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জামায়তে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। গতকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

তবে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে মতভিন্নতা রয়ে গেছে জানিয়ে তাহের বলেছেন, ‘গণভোট হবে সংস্কার কমিশনের জন্য, জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়। গণভোটের কিছু বিষয় নির্বাচনী চরিত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘উচ্চকক্ষ গঠন এবং ‘পিআর সিস্টেম—বাই ভোটার, নট বাই এমপিস’ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। তাই নির্বাচনের আগেই এ সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে পৌঁছানো জরুরি। যদি জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হয়, তাহলে উচ্চকক্ষ তো গঠিতই হলো না। সেক্ষেত্রে কি আবার একটি নির্বাচন দিতে হবে?’

তাহের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘এটা যেন সন্তান জন্মের আগেই জামা-কাপড় কিনে ফেলার মতো। ভোটের দিন পর্যন্ত তো আপার হাউসের (উচ্চকক্ষের) অস্তিত্ব নেই, তাহলে তার ওপর ভোট হবে কীভাবে?’

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এতে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। যেটা এখনো গঠিত হয়নি, সেটার ওপর আগে ভোট দেওয়া মানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়া।’

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তাহের। তাঁর ভাষায়, ‘নির্বাচনের দিন সবাই দলীয় প্রার্থীর ভোট বাড়াতে ব্যস্ত থাকবে। ঐকমত্য কমিশনের ব্যালট আছে কি নেই, সেটা কারও মাথায় থাকবে না। দেখা যাবে অনেকে ব্যালট পেপার নিয়েই বাড়ি চলে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। আমরা নভেম্বর মাসে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছি।’

সবশেষে তাহের জানান, ঐকমত্য কমিশনের কাছে তারা প্রস্তাব দিয়েছেন—যেসব বিষয়ে কমিশনে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো একত্র করে একটি প্যাকেজ হিসেবেই গণভোটের আয়োজন করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অস্ত্র বিলি করছে, ছাত্রদল নেতা আমান

একমত হওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

আপডেট সময় ০৮:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

গণভোটে সম্মতি জানানোয় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জামায়তে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। গতকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

তবে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে মতভিন্নতা রয়ে গেছে জানিয়ে তাহের বলেছেন, ‘গণভোট হবে সংস্কার কমিশনের জন্য, জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়। গণভোটের কিছু বিষয় নির্বাচনী চরিত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘উচ্চকক্ষ গঠন এবং ‘পিআর সিস্টেম—বাই ভোটার, নট বাই এমপিস’ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। তাই নির্বাচনের আগেই এ সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে পৌঁছানো জরুরি। যদি জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হয়, তাহলে উচ্চকক্ষ তো গঠিতই হলো না। সেক্ষেত্রে কি আবার একটি নির্বাচন দিতে হবে?’

তাহের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘এটা যেন সন্তান জন্মের আগেই জামা-কাপড় কিনে ফেলার মতো। ভোটের দিন পর্যন্ত তো আপার হাউসের (উচ্চকক্ষের) অস্তিত্ব নেই, তাহলে তার ওপর ভোট হবে কীভাবে?’

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এতে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। যেটা এখনো গঠিত হয়নি, সেটার ওপর আগে ভোট দেওয়া মানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়া।’

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তাহের। তাঁর ভাষায়, ‘নির্বাচনের দিন সবাই দলীয় প্রার্থীর ভোট বাড়াতে ব্যস্ত থাকবে। ঐকমত্য কমিশনের ব্যালট আছে কি নেই, সেটা কারও মাথায় থাকবে না। দেখা যাবে অনেকে ব্যালট পেপার নিয়েই বাড়ি চলে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। আমরা নভেম্বর মাসে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছি।’

সবশেষে তাহের জানান, ঐকমত্য কমিশনের কাছে তারা প্রস্তাব দিয়েছেন—যেসব বিষয়ে কমিশনে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো একত্র করে একটি প্যাকেজ হিসেবেই গণভোটের আয়োজন করতে হবে।