চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট চুরি ও কারচুপি হলে গোটা বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ছাত্রদল সভাপতি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনগুলো শিবিরের পক্ষ হয়ে কাজ করছে। আমরা ঢাবিতে ও এমন কিছু দেখেছিলাম যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে রাকসু ও চাকসুতে। ছাত্রদল সবসময় ন্যায়ের পক্ষে। আমরা কোন প্রকার ভোট চুরি মেনে নেব না।
রাকিব আরও বলেন, অতীতে যেভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিকে ছাত্রশিবির কলঙ্কিত করেছিল এবারও তারা লাঠি সোটা হাতে সেটি আবারো প্রমাণ করল। তারা ভাবছে ছাত্রদল দুর্বল। আমরা বলতে চাই, আমরা যদি লাঠির পরিবর্তে লাঠি ধরি, আমরা যদি একবার রাজপথে নামি তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছাত্রশিবিরের স্থান হবে না।
এদিকে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ১৩ প্যানেল; ২৩২ পদে মোট প্রার্থী ৯০৮ জন।
জানা গেছে, ভোটারদের কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ভোট দিতে হবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২৬টি ও হল সংসদের ১৪টি পদে ভোট দিতে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। ফলে একজন শিক্ষার্থীকে গড়ে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে ভোট দিতে হবে। তবে ভোটাররা পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করে।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়।
জিএস পদে জয়ী হয়েছেন ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন হাবিব, যিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট। তিনি ছাত্রদল প্রার্থী শাফায়াতকে পরাজিত করেন।