চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে—মর্মে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে এ বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আচরণবিধি মনিটরিং সেলের প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
আচরণবিধি মনিটরিং সেলের প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমরা কাউকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে জরিমানা করা হয়েছে—এমন বক্তব্য দেইনি। আপনারা এমন তথ্য কোথায় পেলেন? আমরা এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে আপনাদের সাথে পরে কথা বলবো।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে—এমন কোনো তথ্য নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে জানায়নি। এই সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। প্রতিটি ভোটকক্ষে সর্বোচ্চ ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়বেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।