রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে, কমিশনের প্রতি নিন্দা জানিয়ে প্রজেকশন মিটিং স্থগিত করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক ফেসবুক বার্তায় জোটের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মেনে তারা প্রজেকশন মিটিং আয়োজন করে আসছিলেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। প্রচারণার শেষ দিনে শহীদ জিয়াউর রহমান হল, সৈয়দ আমীর আলী হল, নওয়াব আব্দুল লতিফ হল এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলে প্রজেকশন মিটিংয়ের আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
তবে বার্তায় অভিযোগ করা হয়, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে প্রজেকশন মিটিংগুলো জমজমাট হওয়ায় ‘বিশেষ একটি গোষ্ঠীর চাপের মুখে’ নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ নতুন নীতিমালা জারি করে। নতুন নির্দেশনায় হলের বাইরে থেকে চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেম আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
জোটের দাবি, আগের দিন বেগম খালেদা জিয়া হলে প্রজেকশন মিটিংয়ের সময় চেয়ার ঢুকতে না দেওয়ায় ছাত্রীদের মেঝেতে বসে অনুষ্ঠান শুনতে হয়, যা ছিল ‘বিব্রতকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত’।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের ‘পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের’ প্রতিবাদ জানিয়ে আজকের নির্ধারিত সব প্রজেকশন মিটিং স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট।
তারা আরও আশা প্রকাশ করেছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ও ন্যায়নিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা দোয়া ও সমর্থনের মাধ্যমে আগের মতোই তাদের পাশে থাকবেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন আচরণবিধির ৪নং ধারা স্পষ্টীকরণে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, হলের অভ্যন্তরে নির্বাচনী সভায় বাইরে থেকে কোনো চেয়ার, আসবাবপত্র বা সাউন্ড সিস্টেম আনা যাবে না; বরং হলের নিজস্ব সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া সভায় কোনো প্রকার নাস্তা বা খাবার বিতরণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।