ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় খাস জমি দখলে আ’মী লীগ নেতা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা বগুড়া সদর  বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া হাটে জেলা পরিষদের খাস জমিতে রাতারাতি গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানঘর এখনো উচ্ছেদ হয়নি। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় গড়ে ওঠা এই অবৈধ স্থাপনার পেছনে রয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে শহীদদের রক্তের ঋণ নিয়ে দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা। স্থানীয় সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২২ সালে মানিকের তত্ত্বাবধানে ৮টি দোকান নির্মাণ করা হয়, যেগুলোর প্রতিটি অবৈধভাবে খাস জমিতে গড়ে তোলা হয়। এসব দোকান থেকে এখনো ভাড়া তুলে আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক ব্যবসায়ী ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে মানিকের কাছ থেকে দোকান কিনে ব্যবসা চালাচ্ছেন যা সরাসরি আইন লঙ্ঘনের শামিল। মানিক নিজেও এই অবৈধ দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমরা তখন হাট ইজারা নিয়েছিলাম, তখনই দোকানগুলো করেছিলাম। এখন সব ম্যানেজ করা আছে। যদি সরকার ভেঙে দেয়, তাহলে আমার কিছু করার নেই। তবে এখন যেহেতু কিছু হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক বলেন, “এই জায়গাটি জেলা পরিষদের মালিকানাধীন। প্রায় ৪ বছর আগে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। জেলা পরিষদ চাইলে উচ্ছেদ করে নতুন মার্কেট নির্মাণ করতে পারে। বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোঃ শাহনেওয়াজ জানান, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত সার্ভেয়ারের মাধ্যমে তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সরকারের খাস জমিতে গড়ে ওঠা এই অবৈধ দখলদারিত্ব শুধুমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, এটি জনগণের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। এখন দেখার বিষয় — প্রশাসন কি সত্যিই এই দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, নাকি কিছু ‘সম্মানী’র বিনিময়ে সব ধামাচাপা পড়ে যাবে?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ ২ মৃতদেহ উদ্ধার

বগুড়ায় খাস জমি দখলে আ’মী লীগ নেতা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা

আপডেট সময় ০৪:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা বগুড়া সদর  বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া হাটে জেলা পরিষদের খাস জমিতে রাতারাতি গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানঘর এখনো উচ্ছেদ হয়নি। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় গড়ে ওঠা এই অবৈধ স্থাপনার পেছনে রয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে শহীদদের রক্তের ঋণ নিয়ে দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা। স্থানীয় সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২২ সালে মানিকের তত্ত্বাবধানে ৮টি দোকান নির্মাণ করা হয়, যেগুলোর প্রতিটি অবৈধভাবে খাস জমিতে গড়ে তোলা হয়। এসব দোকান থেকে এখনো ভাড়া তুলে আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক ব্যবসায়ী ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে মানিকের কাছ থেকে দোকান কিনে ব্যবসা চালাচ্ছেন যা সরাসরি আইন লঙ্ঘনের শামিল। মানিক নিজেও এই অবৈধ দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমরা তখন হাট ইজারা নিয়েছিলাম, তখনই দোকানগুলো করেছিলাম। এখন সব ম্যানেজ করা আছে। যদি সরকার ভেঙে দেয়, তাহলে আমার কিছু করার নেই। তবে এখন যেহেতু কিছু হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক বলেন, “এই জায়গাটি জেলা পরিষদের মালিকানাধীন। প্রায় ৪ বছর আগে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। জেলা পরিষদ চাইলে উচ্ছেদ করে নতুন মার্কেট নির্মাণ করতে পারে। বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোঃ শাহনেওয়াজ জানান, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত সার্ভেয়ারের মাধ্যমে তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সরকারের খাস জমিতে গড়ে ওঠা এই অবৈধ দখলদারিত্ব শুধুমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, এটি জনগণের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। এখন দেখার বিষয় — প্রশাসন কি সত্যিই এই দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, নাকি কিছু ‘সম্মানী’র বিনিময়ে সব ধামাচাপা পড়ে যাবে?