ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না: দুলু Logo ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দে আইকনিক হচ্ছে আন্দরকিল্লা মসজিদ Logo নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল জামায়াতে ইসলামী Logo চবি ছাত্রদলের ৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ শিবিরের Logo সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে Logo চবির আবাসিক হলে ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর কক্ষে দুই বহিরাগত সনাক্ত Logo পাকিস্তানের ২৫ ঘাঁটি দখল ও ৫৮ সেনাকে হত্যার দাবি আফগানিস্তানের Logo ‘আগে শিক্ষার্থীরা নেতাদের গুনে চলতে হতো, রাকসু হওয়ার পর নেতৃত্ব দিতে শিখবে’ Logo সারাদেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু Logo ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে সারাদেশের বাস চলাচল বন্ধ

চবির আবাসিক হলে ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর কক্ষে দুই বহিরাগত সনাক্ত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে আবাসিক হলগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় এফ রহমান হলের ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর কক্ষ থেকে দুইজন বহিরাগতকে সনাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে এ এফ রহমান হলের ১৩২ নাম্বার রুমে তল্লাশি চালিয়ে দুইজন বহিরাগতকে সনাক্ত করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ মাধ্যমে ছেলেদের সোহরাওয়ার্দী হল, এ এফ রহমান হল ও আলাওল হলে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির সময় হলের বিভিন্ন রুমে বহিরাগত শনাক্ত, অবৈধ সিটধারীদের চিহ্নিতকরণ এবং সন্দেহজনক মনে হলে রুমগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে।

এসময় তল্লাশিতে সোহরাওয়ার্দী হলের একাধিক শিক্ষার্থীর হল কার্ড পাওয়া যায়নি এমনকি অন্যের সিটে আছেন এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক। পাশাপাশি শহীদ ফরহাদ হোসেন হলে আসন বরাদ্দ পেলেও থাকছেন সোহরাওয়ার্দী হলে।

এফ রহমান হলে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের নির্বাহী সদস্য প্রার্থী মিজান মিয়ার কক্ষ থেকে দুইজন বহিরাগতকে সনাক্ত করে প্রক্টরিয়াল বডি। মিজান মিয়ার রুম নাম্বার ১৩২। মিজান মিয়া জানান তাকে সহযোগিতা করার জন্য দুইজনকে নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছেন তিনি।

মিজান মিয়ার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার সহযোগিতার জন্য তিনি দুইজনকে তার জেলার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নিয়ে এসেছেন। মিজান মিয়ার রুমে অবস্থান করা সেই দুইজন হলেন মো. শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। যারা সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই হন বলে জানিয়েছেন তিনি। তারা পড়াশোনার সাথে যুক্ত নন।

মিজান মিয়া বলেন, ” তারা আমার চাচাতো ভাই আমি তাদেরকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি আমাকে সহযোগিতা করার জন্য। তারা আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমরা যারা দৃষ্টি আমরা যারা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছি তারা প্রশাসনকে চারটি দাবি দিয়েছিলাম। তার তিন নম্বর দাবি মধ্যে ছিল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আচরণবিধি শিথিল করতে হবে। যেহেতু আমরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাই আমাদের জন্য প্রত্যেকটা পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জিং।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন উপলক্ষে আমি যেন বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করতে পারি সেই লক্ষ্যে তাদের দুজনকে আমি বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি। আমার রুমে মাদক বা দেশীয় অস্ত্র কোন কিছুই নেই, এই দুইজন আমাকে শুধু সহযোগিতা করছে।”

চলাচলের জন্য প্যানেলের সহযোগিতা পাচ্ছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি আমার প্যানেল থেকে সবসময় সহযোগিতা পেয়েছি।”

প্যানেলের সহযোগিতা পেয়েও বহিরাগতদের সহযোগিতা কেন নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যেহেতু আমাকে বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করতে হয় সেহেতু তাৎক্ষণিকভাবে প্যানেল আমাকে সহযোগিতা করতে পারবে না। সকল দিক যেন আমি বজায় রেখে কাজ করতে পারি সেই বিবেচনায় দুজনকে নিয়ে এসেছি।”

হলে অবস্থান করা দুইজনের একজন মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে মিজান ভাই আমাদেরকে কল দিয়ে বলেন যে এখানে তিনি এখানে একটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, ‘আমাকে তো নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় তুমি আমাকে সহযোগিতা করার জন্য আসতে পারবা কি-না’। উনি যেহেতু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তাই উনাকে সহযোগিতার জন্য একজন সহযোগির প্রয়োজন। কোথাও যেতে চাইলে আমি ওনাকে নিয়ে যাই। প্রচার প্রচারণা উনি নিজেই চালায়।”

হল তল্লাশির সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো: নুরুল হামিদ বলেন, ” আমরা সোহরাওয়ার্দী, এ এফ রহমান ও আলাওল হলে অভিযান পরিচালনা করেছি। আলাওলে সম্পূর্ণ করতে পারিনি। আমরা কিছু সমস্যা পেয়েছি। যেমন শহীদ ফরহাদ হোসেন হলে এলোটমেন্ট কিন্তু থাকে সোহরাওয়ার্দী হলে। আবার অনেক রুমে দেখা গেছে একজন সিট পেয়েছে থাকছে আরেকজন।”

তিনি বলেন, “এ তল্লাশির মূল উদ্দেশ্য ছিল হলে অবৈধ বহিরাগত কেউ আছে কি-না দেখা। এ এফ রহমান হলের ১৩২ নাম্বার রুমে আমরা ২জন বহিরাগত পেয়েছি যারা মিজান মিয়া নামের একজন প্রার্থীর পরিচিত।”

ট্যাগস :

কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না: দুলু

চবির আবাসিক হলে ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর কক্ষে দুই বহিরাগত সনাক্ত

আপডেট সময় ০৩:৩১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে আবাসিক হলগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় এফ রহমান হলের ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীর কক্ষ থেকে দুইজন বহিরাগতকে সনাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে এ এফ রহমান হলের ১৩২ নাম্বার রুমে তল্লাশি চালিয়ে দুইজন বহিরাগতকে সনাক্ত করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ মাধ্যমে ছেলেদের সোহরাওয়ার্দী হল, এ এফ রহমান হল ও আলাওল হলে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির সময় হলের বিভিন্ন রুমে বহিরাগত শনাক্ত, অবৈধ সিটধারীদের চিহ্নিতকরণ এবং সন্দেহজনক মনে হলে রুমগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে।

এসময় তল্লাশিতে সোহরাওয়ার্দী হলের একাধিক শিক্ষার্থীর হল কার্ড পাওয়া যায়নি এমনকি অন্যের সিটে আছেন এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক। পাশাপাশি শহীদ ফরহাদ হোসেন হলে আসন বরাদ্দ পেলেও থাকছেন সোহরাওয়ার্দী হলে।

এফ রহমান হলে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের নির্বাহী সদস্য প্রার্থী মিজান মিয়ার কক্ষ থেকে দুইজন বহিরাগতকে সনাক্ত করে প্রক্টরিয়াল বডি। মিজান মিয়ার রুম নাম্বার ১৩২। মিজান মিয়া জানান তাকে সহযোগিতা করার জন্য দুইজনকে নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছেন তিনি।

মিজান মিয়ার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার সহযোগিতার জন্য তিনি দুইজনকে তার জেলার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নিয়ে এসেছেন। মিজান মিয়ার রুমে অবস্থান করা সেই দুইজন হলেন মো. শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। যারা সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই হন বলে জানিয়েছেন তিনি। তারা পড়াশোনার সাথে যুক্ত নন।

মিজান মিয়া বলেন, ” তারা আমার চাচাতো ভাই আমি তাদেরকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি আমাকে সহযোগিতা করার জন্য। তারা আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমরা যারা দৃষ্টি আমরা যারা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছি তারা প্রশাসনকে চারটি দাবি দিয়েছিলাম। তার তিন নম্বর দাবি মধ্যে ছিল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আচরণবিধি শিথিল করতে হবে। যেহেতু আমরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাই আমাদের জন্য প্রত্যেকটা পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জিং।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন উপলক্ষে আমি যেন বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করতে পারি সেই লক্ষ্যে তাদের দুজনকে আমি বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি। আমার রুমে মাদক বা দেশীয় অস্ত্র কোন কিছুই নেই, এই দুইজন আমাকে শুধু সহযোগিতা করছে।”

চলাচলের জন্য প্যানেলের সহযোগিতা পাচ্ছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি আমার প্যানেল থেকে সবসময় সহযোগিতা পেয়েছি।”

প্যানেলের সহযোগিতা পেয়েও বহিরাগতদের সহযোগিতা কেন নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যেহেতু আমাকে বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করতে হয় সেহেতু তাৎক্ষণিকভাবে প্যানেল আমাকে সহযোগিতা করতে পারবে না। সকল দিক যেন আমি বজায় রেখে কাজ করতে পারি সেই বিবেচনায় দুজনকে নিয়ে এসেছি।”

হলে অবস্থান করা দুইজনের একজন মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে মিজান ভাই আমাদেরকে কল দিয়ে বলেন যে এখানে তিনি এখানে একটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, ‘আমাকে তো নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় তুমি আমাকে সহযোগিতা করার জন্য আসতে পারবা কি-না’। উনি যেহেতু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তাই উনাকে সহযোগিতার জন্য একজন সহযোগির প্রয়োজন। কোথাও যেতে চাইলে আমি ওনাকে নিয়ে যাই। প্রচার প্রচারণা উনি নিজেই চালায়।”

হল তল্লাশির সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো: নুরুল হামিদ বলেন, ” আমরা সোহরাওয়ার্দী, এ এফ রহমান ও আলাওল হলে অভিযান পরিচালনা করেছি। আলাওলে সম্পূর্ণ করতে পারিনি। আমরা কিছু সমস্যা পেয়েছি। যেমন শহীদ ফরহাদ হোসেন হলে এলোটমেন্ট কিন্তু থাকে সোহরাওয়ার্দী হলে। আবার অনেক রুমে দেখা গেছে একজন সিট পেয়েছে থাকছে আরেকজন।”

তিনি বলেন, “এ তল্লাশির মূল উদ্দেশ্য ছিল হলে অবৈধ বহিরাগত কেউ আছে কি-না দেখা। এ এফ রহমান হলের ১৩২ নাম্বার রুমে আমরা ২জন বহিরাগত পেয়েছি যারা মিজান মিয়া নামের একজন প্রার্থীর পরিচিত।”