ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান Logo মোটরসাইকেল জব্দ করায় থানায় হামলা, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রদল Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ Logo জুমার পর সবাইকে আন্দোলন মঞ্চে আসার ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর Logo ‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’প্রশ্ন সাদিক কায়েমর Logo যমুনার সামনে রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে যায় দৃশ্যপট Logo সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে Logo স্ক্রিনশট স্ক্যান করেই লোকেশন খুঁজে দেবে গুগল ম্যাপ Logo ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’:যুক্তরাষ্ট্র

অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টাকালে ৫৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টাকালে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৫৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগাহছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁদের পাচারের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩টি শিশু রয়েছে। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজন হলেন মোহাম্মদ ইয়াসিন (২৩), মো. জোবাইর (৩৫), নাজির হোসেন (৬১) ও রামিমুল ইসলাম (৩১)। তাঁরা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা বলে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বের করে এনে টেকনাফ সদরের দরগাহছড়াপাড়ার একটি ঘরে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ৫৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ফাতেমা বেগম বলেন, পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। রোহিঙ্গা শিবিরে অপহরণ, মাদক ব্যবসা, খুনোখুনি পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের খাদ্যসামগ্রী কমিয়ে দেওয়ায় নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই তাঁরা পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।

নুরুন্নেছা ও সমিরা বেগম নামের অপর দুই তরুণী বলেন, মালয়েশিয়ায় তাঁদের স্বামী রয়েছেন। এ জন্য তাঁরা সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন।

ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি আরও বলেন, পুলিশের কয়েকটি দল এখনো পাচারকারীদের ধরতে মাঠে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের আদালতের মাধ্যমে নিজ নিজ আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান

অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টাকালে ৫৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

আপডেট সময় ০৭:০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টাকালে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৫৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগাহছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁদের পাচারের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩টি শিশু রয়েছে। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজন হলেন মোহাম্মদ ইয়াসিন (২৩), মো. জোবাইর (৩৫), নাজির হোসেন (৬১) ও রামিমুল ইসলাম (৩১)। তাঁরা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা বলে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বের করে এনে টেকনাফ সদরের দরগাহছড়াপাড়ার একটি ঘরে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ৫৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ফাতেমা বেগম বলেন, পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। রোহিঙ্গা শিবিরে অপহরণ, মাদক ব্যবসা, খুনোখুনি পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের খাদ্যসামগ্রী কমিয়ে দেওয়ায় নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই তাঁরা পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।

নুরুন্নেছা ও সমিরা বেগম নামের অপর দুই তরুণী বলেন, মালয়েশিয়ায় তাঁদের স্বামী রয়েছেন। এ জন্য তাঁরা সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন।

ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি আরও বলেন, পুলিশের কয়েকটি দল এখনো পাচারকারীদের ধরতে মাঠে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের আদালতের মাধ্যমে নিজ নিজ আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হবে।